ধম্মাকায়া বৌদ্ধ বিহার, থাইল্যান্ড।

সংগ্রহে ও ভিডিও এডিটিংঃ শিমুল বড়ুয়া ‍উনন

ধম্মাকায়া চৈত্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককের উত্তরে পাথুমতানি (Pathumtani) প্রদেশের ওয়াট ফ্রে ধম্মকায়ার প্রাঙ্গনে অবস্থিত। এটি পূর্ব ব্যাংকক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রায় 16 কিলোমিটার দূরে।

আকারে বিশাল ধম্মাকায়া চৈত্যটি আন্তঃ শান্তির মাধ্যমে বিশ্ব শান্তির প্রতীক। সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মানুষের অংশগ্রহণে নির্মিত এটি মানবজাতির জন্য ঐক্য ও ভালবাসার প্রতিমূর্তিও।

গম্বুজ আকারের চৈত্যটি (স্তূপ) বিশ্বের বৌদ্ধ ও শান্তিকামী মানুষদের জন্য গণ-ধ্যান ও প্রার্থনার বৃহত্তম স্থান হয়ে উঠেছে।

ধাম্মাকায়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি শ্রদ্ধেয় ফারা রাজবানাবিশোধ (Ven. Phra rajbhavanavisudh) যিনি লুয়াং ফোড় ধম্মজায়ো (Luang Phor Dhammajayo) নামে অধিক পরিচিত। এই মাহান মানুষটির নেতৃত্বে একটি নির্মাণের প্রধান উদ্দেশ্য হলো,  প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে শান্তিপূর্ণ মনের বিকাশের মাধ্যমে যেন সমস্ত মানবজাতির জন্য বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা যায়।

ধম্মকায়া চৈত্যের কাঠামোগত নির্মাণ 1999 সালের শেষদিকে সম্পন্ন হয়েছিল। চৈত্যের বাইরের শেলটি গোলার্ধ গম্বুজ বিশিষ্ট এবং গম্বুজটিতে 300,000 টি বুদ্ধের ছবি দিয়ে সজ্জিত। 

থাইল্যান্ডের আর্দ্র এবং ক্রান্তীয় জলবায়ু বিবেচনা করে, সবগুলো বুদ্ধের ছবি ব্রোঞ্জ সিলিকন দ্বারা তৈরি যা সাধারণত সাবমেরিনের (Propellers) পাখা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এটির স্থায়িত্ব যেন ১০০০ বছরের বেশি হয় তার জন্য সিলিকন ব্রোঞ্জ এর উপর টাইটানিয়াম এবং সোনার আবরণে মোড়ানো হয়।

আড়াআড়িভাবে পজিশনে স্থাপিত চৈত্যের প্রতিটি বুদ্ধ চিত্র হ'ল শুদ্ধি, প্রজ্ঞা এবং আলোর মূর্ত প্রতীক।  এর কারণ হ'ল ভগবান বুদ্ধ ধ্যানের মাধ্যমে আলোকিত হয়েছিলেন, যা মনকে শুদ্ধ করে তোলে, যার ফলে অন্তর শান্তি ও আধ্যাত্মিক সম্প্রীতি ঘটে।

নির্মাণ কাজের অংশ হিসেবে পরবর্তীতে এখানে আরো ৭০০০,০০০টি বুদ্ধ মুর্তি স্থাপন করা পরিকল্পনা করা হয় যা এখনো চলমান।

এই গুলির মধ্যে কয়েক'শ হাজার মুর্তির নির্দিষ্ট ম
দাতা রয়েছে যারা এই মুর্তিগুলি তৈরির জন্য অনুদান দিয়েছিলো। আরও কয়েক লক্ষ হাজার মুর্তির কাজ বাকি আছে যে গুলোর নির্মাণ ব্যয় যে কেউ দান করতে পারবে।

ধম্মাকায়া চৈত্য সম্পন্ন হওয়ার পরে, এটি ইতিহাসে লেখা থাকবে এমন এক স্থান হিসাবে যেখানে নতুন প্রজন্ম শিখবে যে একসময় এমন একদল লোক ছিল যারা মানবজাতির জন্য এক বিস্ময়কর ধম্মকায় সেতিয়া প্রতিষ্ঠা করে আন্তঃ শান্তির মধ্য দিয়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্টা করেছিলো।

এমন বিশ্ব শান্তি প্রতীক নির্মানের অংশ নিয়ে আপনিও একজন গর্বিত অংশিদার হোন।
Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

আমাদের ওয়েবসাইট আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকিজ ব্যবহার করে। দয়া করে সম্মতি দিন। Learn More
Accept !