ফলপুষ্পে ধরা হল অতি সুশোভন,
ধরাবাসী হল আজি আনন্দে মগন।
এমন পূর্ণিমা দিনে লুম্বিনী উদ্যানে,
বুদ্ধাঙ্কুর জন্ম নিল অতি শুভক্ষনে।
জন্মক্ষনে বসুন্ধরা কাপিয়া উঠিল,
মেঘধ্বনি পুষ্পবৃষ্টি একক্ষণে হল।
অপূূর্ব আলোকে ধরা হল আলোকিত,
দেব-নর পশু-পক্ষী হল পুলকিত।
সাধু সাধু ধ্বনি করে স্বর্গে দেবগণ,
হাস্যময় ধরা প্রীত সর্বজন।
উত্তর দিকেতে চলে শিশু নবজাত,
সপ্তপদে সপ্তপদ্ম হল প্রস্ফুটিত।
সপ্তম পদ্মেতে স্তিত হয়ে অবিস্থিত,
গম্ভীর অপূর্ব বাক্য করেন বিঘোষিত।
জৈষ্ঠ্য আমি ত্রিলোকমাঝারে,
না লভিব জন্ম আর পুনঃ এ সংসারে।
অহো কি আশ্চার্য শিশু মায়ার সন্তান,
যিনি হবেন ত্রানকর্তা বুদ্ধ ভগবান।
পুনঃ এই শুভদিন অতি স্মরণীয়,
বৈশাখী পূর্ণিমা-তিথি অতি বরণীয়।
এহেন পবিত্র দিনে নৈরঞ্জনা তীরে,
সুজাতার পায়সান্ন খেয়ে ধীরে ধীরে।
গয়াধাম শ্রেষ্ঠ বোধি-পালঙ্ক মহান,
পৃথিবীর নাভিস্থান অতি গরীয়ান।
অভীষ্ট স্থানেতে তিনি উপনীত হন,
বসিলেন বোধিতরুমূলে তপোবন।
শান্তমনে ধ্যানমগ্ন হলেন যখন,
মাররাজ আরম্ভিল সমর ভীষণ।
রাত্রির অন্তিম যামে মহাপ্রজ্ঞাবান,
মার পরাজয় করি লভে বোধিজ্ঞান।
জগৎ বরেণ্য হলে বুদ্ধ ভগবান,
করুণিক শাক্যমুনি ত্রিলোক প্রধান।
বহুবিধ অলৌকিক শক্তি সহকারে,
পঞ্চ-চত্বারিংশ বর্য জগৎ মাঝারে।
সুধাসম শ্রেষ্ঠ ধর্ম করিয়া প্রচার,
নরদেব ত্রিলোকের করি উপকার।
পূর্ণ যবে হল তাঁর অশীতি বৎসর,
কুশীনারা শালবনে গিয়ে অতঃপর।
শুভ্র-জ্যোৎস্না আলোকিত গগন মণ্ডলে,
বৈশাখী পূর্ণিমা রাত্রি দেবনর বলে ।
কাঁদাইয়া নিরবান লভে বুদ্ধ ধন,
জ্ঞানদীপ নির্বাপনে কাঁদিল ভুবন।
স্মৃতিত্রয় বিজড়িত এই মহাদিনে,
বুদ্ধগুন গাও সবে ভক্তিযুত মনে।
আমাদের কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আমরা আপনার কমেন্ট পড়া মাত্র প্রতিক্রিয়া জানাতে চেষ্টা করবো।