মিলিন্দপ্রশ্ন (পর্ব-০২)



মহাসেন দেবপুত্রকে মনুষ্যলোকে আগমনের জন্য প্রার্থনা
১৮  দেবরাজ শক্র দূর হইতেই ভিক্ষুদিগকে আসিতে দেখিয়া আয়ুষ্মান অশ্বগুপ্তের নিকট গেলেন এবং আয়ুষ্মন অশ্বগুপ্তকে প্রণাম করিয়া এক প্রান্তে দাড়াইলেন। দেবেন্দ্র শক্র আয়ুষ্মন অশ্বগুপ্তকে কহিলেন-'ভস্তে। মহাভিক্ষুসংঘ দেবলোকে সমাগত হইয়াছেন। আমি ভিক্ষুসংঘের সেবক। (তাঁহাদেরকিসের প্রয়োজনআমি (তাহাদের জন্যকি করিতে পারি?


তখন আয়ুষ্মন অশ্বগুপ্ত দেবেন্দ্র শক্রকে কহিলেন- “মহারাজ! জম্বুদ্বীপের সাগল নগরে মিলিন্দ রাজা বিতন্ডবাদীদুর্ধর্ষদুঃসহনানা তীর্থস্করদের মধ্যে শ্রেষ্ঠরূপে অভিহি। তিনি ভিক্ষুসংঘের নিকট উপস্থিত হইয়া মিথ্যাদৃষ্টি বিষয়ে প্রশ্ন করিয়া ভিক্ষুসংঘকে বিব্রত করিতেছেন
শত্রু কহিলেন- “ভান্তে রাজা মিলিন্দ এখান হইতে চ্যুত হইয়া মনুষ্যলোকে উৎপন্ন হইয়াছেন আর ভান্তে! কেতুমতী বিমানে মহাসেন নামক দেবপুত্র বাস করেন। তিনি মিলিন্দ রাজার সহিত বাদানুবাদ করিয়া তাহার সন্দেহ ভঞ্জন করিতে সমর্থ হইবেন। সেই দেব পুত্রকে আমরা মনুষ্যলোকে জন্ম গ্রহণের নিমিত্ত অনুরোধ করিব।

১৮। তখন দেবরাজ শক্র ভিক্ষুসংঘকে সম্মুখে রাখিয়া কেতুমতী বিমানে প্রবেশ করিলেন এবং মহাসেন দেবপুত্রকে আলিঙ্গন করিয়া কহিলেন-“বন্ধুভিক্ষুসংঘ আপনাকে মনুষ্যলোকে জন্মগ্রহণের নিমিত্ত অনুরোধ করিতেছেন। "মহাসেন কহিলেন-“প্রভুআমার মনুষ্যলোকোৎপত্তির প্রয়োজন নাই।কারণ মনুষ্যলোক কর্মবহুল এবং বিরক্তিকরণ। প্রভুআমি এখানে এই দেবলোকে ক্রমশঃ উর্ধ্বগামী হইয়া পরিনির্বাণ লাভ করিব।"
শক্র কর্তৃক দ্বিতীয়তৃতীয় বার অনুরুদ্ধ হইয়াও তিনি ঐরূপ বলিলেন।
অত:পর আয়ুষ্মান অশ্বগুপ্ত কহিলেন- “মহাশয়দেবলোক সহ মনুষ্যলোক অনুসন্ধান করিয়াও আপনাকে ব্যতীত অপর কাহাকেও শক্তিমান দেখিতেছি নাযিনি মিলিন্দরাজকে তর্কে পরাস্ত করিয়া বুদ্ধশাসনের উপকার করিতে পারেন। মহাশয়আপনাকে ভিক্ষুসংঘ অনুরোধ করিতেছেন। হে সৎপুরুষমনুষ্যলোকে উৎপন্ন হইয়া দশবলের (বুদ্ধেরশাসনের শ্রীবৃদ্ধি করুন।"
ইহা শুনিয়া মহাসেন দেবপুত্র“ আমি মিলিন্দরাজের বিবাদ নিরসন করিয়া বুদ্ধশাসনের শ্রীবৃদ্ধি সাধন করিতে সমর্থ হইব” -এই চিন্তায় অতিশয় আনন্দিত  হর্ষান্বিত হইয়া কহিলেন, “প্রতিশ্রুতি দিতেছিউত্তম ভন্তেআমি মনুষ্যলোকে জন্মগ্রহণ করিব।

১৯  তৎপর ভিক্ষুগণ সেই কর্তব্য সম্পাদন করিয়া তাবতিংস দেবলোক হইতে অন্তর্হিত হইয়া হিমালয় পর্বতের রক্ষিত তলে অবতরণ করিলেন।

রোহনের প্রতি অশ্বগুপ্তের দন্ডকর্ম দান
অনন্তর আয়ুস্মান অশ্বগুপ্ত ভিক্ষসংঘকে জিজ্ঞাসা করিলেন- “বন্ধুগণএই ভিক্ষুসংঘের মধ্যে এমন কোন ভিক্ষু আছেন কি যিনি এই সভায় অনুপস্থিত  ছিলেন? ”
এই প্রকার জিজ্ঞাসিত হইলে একজন ভিক্ষু কহিলেন- “ভন্তে ! আয়ুষ্মন রোহণ আছেন। তিনি সাত দিন পূর্বে হিমালয় পর্বতে প্রবেশ করিয়া‘ নিরোধ সমাপত্তি’ ধ্যানস্থ হইয়াছেন। তাঁহার নিকট দূত প্রেরণ করুন।
সংঘ আমার সন্ধান করিতেছেনএই চিন্তা করিয়া আয়ুষ্মন রোহণ সেই ক্ষণে নিরোধ-সমাপত্তি হইতে উঠিলেন। আর হিমালয় পর্বত হইতে অন্তহিত হইয়া রক্ষিত হলে কোটিশত অর্হৎদের সম্মুখে উপস্থিত হইলেন।
তখন আয়ুষ্মন অশ্বগুপ্ত আয়ুষ্মন রোহণকে কহিলেন- “বন্ধু রোহণবুদ্ধশাসন সঙ্কটাপন্ন হইয়াছেতথাপি আপনি সংঘের কর্তব্য লক্ষ্য করিতেছেন না কেন!”
ভন্তেইহাতে আমার অপরাধ হইয়াছে।
তাহা হইলে বন্ধু রোহণআপনাকে দণ্ডকর্ম ভোগ করিতে হইবে।"
ভন্তেকি করিবার অজ্ঞা হয়?”
বন্ধুহিমালয় পর্বত পার্শ্বে কজঙ্গল নামক এক ব্রাহ্মণ গ্রাম আছে। তথায় সোনুত্তর ব্রাহ্মণ বাস করেন  সেই ব্রাহ্মণের নাগসেন নামে এক পুত্র জন্মিবে। আপনি সাত বৎসর  দশ মাস ভিক্ষাচরণ করুন এবং নাগসেন বালককে বাহির করিয়া প্ৰব্ৰাজিত করুন। সে প্রব্রজিত হইলেই আপনি দন্ডকর্ম হইতে মুক্তি পাইবেন।” আয়ুষ্মন রোহণ সাধুবাদে স্বীকৃতি জানাইলেন।
২০  মহাসেন দেবপুত্রও দেবলােক হইতে চ্যুত হইয়া সোনুত্তর ব্রাহ্মণের ভার্যার গর্ভে জন্মগ্রহণ করিলেন। তাহার (মাতৃকুক্ষিতেউৎপন্ন হইবার সঙ্গে ত্রিবিধ আশ্চর্য অদ্ভত ঘটনা সংঘটিত হইল- (অস্ত্রশস্ত্র প্রজ্বলিত হইল, (প্রধান শস্য পরিপক্ক হইল, (আর মহামেঘ প্রচুর বর্ষণ করিল।
 দিকে আয়ুস্মান রোহণ  মহাসেনের মাতৃকুক্ষিতে জন্মলাভের সময় হইতে সাত বৎসর দশ মাস পর্যন্ত প্রত্যহ সেই ব্রাহ্মণের ঘরে ভিক্ষার নিমিত্ত গমন করিতে থাকেনকিন্তু কোন দিনও এক চামচ ভাত বা এক হাতা সাগু বা অভিবাদন বা অঞ্জলিকম কিংবা সাদর সম্ভাষণমাত্রও লাভ করেন নাই। বরং তদ্বিপরীত আক্রোশঠাট্টা-বিদ্রুপই তাহাকে লাভ করিতে হইয়াছিল। “আগে যানভন্তে!” এরূপ বলিবারও কেহ ছিল না  সাত বৎসর দশ মাস  অতিবাহিত হইলে একদিনভন্তে !
আগে যান ” এই কথা শুনিতে পাইলেন। সেই দিন ব্রাহ্মণ বাহিরের কাজ-কর্ম হইতে ফিরিবার সময় পথের মধ্যে। স্থবিরকে দেখিয়া কহিলেন— “হে প্রব্রজিত। আমাদের বাড়ি গিয়াছিলেন কি?”
হ্যাঁ ব্রাহ্মণগিয়াছিলাম।
কিছু পাইয়াছেন কি?”
হ্যাঁব্রাহ্মণপাইয়াছি।
ব্রাহ্মণ অসন্তুষ্ট চিত্তে বাড়ি গিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন- “সেই প্রব্রজিতকে কিছু দেওয়া হইয়াছে কি?“
নাকিছু দেওয়া হয় নাই।
 ২১  পরের দিন ব্রাহ্মণ “ভিক্ষুকে মিথ্যা কথার অপরাধে নিগ্রহ করিক” এই ভাবিয়া গৃহছারে বসিয়া রহিলেন।
স্থবির দ্বিতীয় দিন ব্রাহ্মণের গৃহদ্বারে উপস্থিত হইলেন। ব্রাহ্মণ স্থবিরকে দেখিয়াই কহিলেন, “গতকাল আমাদের ঘরে আপনি কিছু না পাইয়াই‘ পাইয়াছি বলিয়াছেন। আপনার পক্ষে মিথ্যা বলা কি উচিত?”
স্থবির কহিলেন- “ব্রাহ্মণআপনার দ্বারে সাত বৎসর দশ মাসাবধি ‘আগে যান’ একথা শুনি নাই। কিন্তু গতকাল আগে যানএই সুবচন পাইয়াছি। এই সাদর সম্ভাষণ লাভ করিয়াই আমি এইরূপ বলিয়াছি।
ব্রাহ্মণ চিন্তা করিলেন-  ”ইহারা যখন কেবল বাক-সৌজন্য লাভ করিয়াই জনসমাজে ’পাইয়াছিবলিয়া প্রশংসা করেনতখন অপর কিছু খাদ্য-ভোজ্য পাইলে কেন প্রশংসা করিবেন না।” তিনি অতিশয় প্রসন্ন হইয়া ভিক্ষুক নিজের জন্য প্রস্তুত ভাত হইতে এক চামচ ভিক্ষা (ভাত তদনুরুপ তরকারি দিলেন এবং বলিলেন- “এইরূপ ভিক্ষা আপনি প্রতিদিন লাভ করিবেন।
পর দিবস হইতে ব্রাহ্মণ আগত স্থবিরের শান্ত ভাব দর্শন করিয়া অধিকতর প্রসন্ন হইলেন। তিনি স্থবিরকে প্রত্যেক দিন তাহার বাড়িতে ভোজনের জন্য প্রার্থনা করিলেন। স্থবির মৌনভাবে সম্মতি জানাইলেন। তৎপর স্থবির রোহণ প্রতিদিন ভোজন করিয়া যাইবার সময় বুদ্ধবাণীর কিছু কিছু উপদেশ দিয়া যাইতেন।

নাগসেনের জন্ম
২২  দশ মাস গত হইলে ব্রাহ্মণী পুত্র সন্তান প্রসব করিলেন। তাহার নাম রাখা হইল নাগসেন। সে ক্রমশঃ বড় হইয়া সাত বৎসর বয়স্ক হইল। তখন বালক নাগসেনের পিতা নাগসেনকে কহিলেন- “নাগসেনএই ব্রাহ্মণকুলের যাহা শিক্ষণীয় তাহা শিক্ষা কর।
এই ব্রাহ্মণকুলের শিক্ষণীয় বিষয় কি?”
ত্রিবেদ শিক্ষা  অপরগুলি শিল্প-এইগুলিই শিক্ষণীয়।
তাহা শিক্ষা করিব।'
তখন , সোনুত্তর ব্রাহ্মণ কোন ব্রাহ্মণ আচার্যকে এক সহস্র মুদ্রা গুরু-দক্ষিনা দিয়া স্বীয় প্রাসাদের এক কামরায় এক প্রান্তে মঞ্চক স্থাপন করিয়া কহিলেন “হে ব্রাহ্মণআপনি নাগসেনকে মন্ত্ৰসমূহ শিক্ষা দান করুন।” “তাহা হইলে, বালকতুমি মন্ত্রসমূহ শিক্ষা করএই বলিয়া আচার্য তাহাকে বেদ-মন্ত্র শিক্ষা দিতে আরম্ভ করিলেন। বালক নাগসেনের একবার আবৃত্তিতেই ত্রিবেদ হৃদয়ঙ্গম হইলকণ্ঠস্থ হইলঅর্থোপলব্ধি হইলসুশৃঙখলাবদ্ধ হইলউত্তমরূপে আয়ত্ত হইল। শব্দজ্ঞানছন্দজ্ঞানভাষাজ্ঞান তথা ইতিহাস (পঞ্চমসহ ত্রিবেদে অচিরেই তাহার এক প্রত্যক্ষ অন্তদৃষ্টির উদ্ভব হইল। তিনি পদকব্যাকরণলোকায়ত  মহাপুরুষ লক্ষণ শাস্ত্রে সুপন্ডিত হইলেন।
২৩  তখন বালক নাগসেন স্বীয় পিতাকে কহিলেন- “পিতাএই ব্রাহ্মণবংশে ইহা অপেক্ষা অধিকতর শিক্ষণীয় বিষয় আছে কিকিংবা এই পরিমাণ?"
ইহা অপেক্ষা অধিক শিক্ষার বিষয় নেই। এই পরিমাণই শিক্ষণীয়।
তখন নাগসেন আচার্যকে শ্রদ্ধা জানাইয়া প্রাসাদ হইতে অবতরণ করিলেন। পূর্বজন্মার্জিত সংস্কার দ্বারা প্রেরিত হইয়া তিনি নির্জনে ধ্যানস্থ হইয়া নিজের অধীত বিদ্যার আদিমধ্য  অন্ত পর্যবেক্ষণ করিলেন। তথায় আদিতেমধ্যে কিংবা অন্তে কোথাও স্বল্পমাত্র সার না দেখিয়া অতিশয় উদ্বিগ্ন  অসন্তুষ্ট চিত্তে কহিলেন- “অহোএই সকল বেদ তুচ্ছনিতান্ত প্রলাপ মাত্রঅসার নিঃসার।
২৪। সেই সময় আয়ুস্মন্ রোহন বর্তনীয় আশ্রমে বসিয়া স্বীয় ধ্যান চিত্ত প্রভাবে নাগসেনের চিত্তবিতর্ক অবগত হইলেন। তিনি অন্তর্বাস পরিধান করিয়া পাত্র  চীবর লইয়া বর্তনীয় বিহার হইতে বাহির হইয়া কজঙ্গল ব্রাহ্মণ গ্রামের সম্মুখে উপনীত হইলেন। 

নাগসেনের সহিত রোহণের মিলন
নাগসেন স্বীয় গৃহের সিংহদ্বারে দন্ডায়মান অবস্থায় দূর হইতে আয়ুস্মান রোহণকে আসিতে দেখিলেন। তাহাকে দেখিয়া নাগসেন সন্তুষ্ট প্রমোদিত  প্রীতি সৌমনস্যযুক্ত হইলেন এবং এই চিন্তা করিলেন যে “অতি উত্তমএই প্রব্রজিত হয়ত কিছু সারতত্ত্ব জানিতে পারেন। তিনি রোহণের নিকট গেলেন এবং প্রশ্ন করিলেন- “মহাশয়এই প্রকার শিরমুন্ডিত  কাদায়বসনধারী আপনি কে?”
বৎসআমি প্রব্রজিত।
মহাশয়আপনাকে প্রবৃজিত বলা হয় কেন?”
পাপরূপ ময়লা রাশি পরিবর্তন করিতেই আমি প্রব্রজিত হইয়াছি। বৎসসেইজন্যই আমার নাম প্রব্রজিত।
মহাশয়কি কারণে আপনার কেশ অন্য লোকের ন্যায় নহে
বৎসউহাতে ষোল প্রকার বিপত্তি দেখিয়া প্রব্রজিতেরা কেশ মুতি করেন। সেই ষোল প্রকার কিকেশ  শ্মশ্রু রাখিলে উহাকে (অলঙ্কৃত করিতে হয়, (সাজাইতে হয়, (তৈল মাখিতে হয়, (ধুইতে হয়, (মালা পরিতে হয়, (সুগন্ধ মাখিতে হয়, (সুবাসিত রাখিতে হয়, (হরিতকি ব্যবহার করিতে হয়, (আমলকি ব্যবহার করিতে হয়, (১০রঞ্জিত করিতে হয়, (১১বাধিতে হয়, (১২চিরুণী ব্যবহার করিতে হয়, (১৩নাপিতের প্রয়োজন হয়, (১৪জটা ছাড়াইতে হয়, (১৫উকুন জন্মাইতে পারেএবং (১৬যখন কেশ উঠিয়া যায় তখন লোকে শোক করেদুঃখিত হয়রোদন করেবক্ষে করাঘাত করেক্রন্দন করে  মূৰ্ছিত হয়। বৎসএই ষোল প্রকার উপদ্রবে আবদ্ধ হইয়া জনগণ যাবতীয় সূক্ষ্ম শিল্পরাশি নষ্ট করিয়া ফেলে।
মহাশয়কি কারণে আপনার বসনগুলি অন্যদের ন্যায় নহে?”
বৎসগৃহীচিহ্নগৃহীদ্রব্য  গৃহস্থদের সুন্দর বসনে কামনা বাসনা আশ্রয় করে। বস্ত্রের জন্য সে সকল ভয়ের সম্ভাবনা আছেতাহা কাষীয় বসন পরিহিতের থাকে না। তজ্জন্য আমার বসন অন্যদের ন্যায় নহে।
মহাশয়আপনি কোন শিল্প জানেন কি?” “হ্যাঁবস আমি যথার্থ শিল্প জানিআর জগতে যে সর্বোত্তম মন্ত্র আছে তাহাও জানি।"
মহাশয়আমাকে তাহা শিখাইতে পারেন?”
হ্যাঁবৎস পারি।
“ তাহা হইলে আমাকে শিখান।
বৎসএখন আমার পক্ষে অসময় কারণ আমি এখন ভিক্ষা করিতে গ্রামের অভ্যন্তরে প্রবেশ করিয়াছি।
২৫  তখন বালক নাগসেন আয়ুষ্মন রোণের হাত হইতে পাত্র লইয়া তাহাকে ঘরের ভিতর লইয়া গেলেন। তথায় গৃহস্থ উত্তম খাদ্য-ভোজ্য দ্বারা তাহাকে সন্তর্পিত  পরিতৃপ্ত করিলেন। ভোজন শেষে আয়ুষ্মান রোহণ পাত্র হইতে হাত তুলিলে তিনি কহিলেন- “মহাশয়এখন আমাকে মন্ত্র শিক্ষা দিন।'
আয়ু স্নান রোহণ বলিলেন- "বৎসতুমি যখন সর্ববিধ বাধামুক্ত হইয়া মাতাপিতার অনুমতিক্রমে প্রব্রজিতের বেশ ধারণ করিবেতখন আমি তোমাকে শিখাইব।

---#চলমান।
পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য আমাদের সাথে থাকুন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

আমাদের ওয়েবসাইট আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকিজ ব্যবহার করে। দয়া করে সম্মতি দিন। Learn More
Accept !