নাম ও রূপ পরস্পর আশ্রিত
৩৩। রাজা বলিলেন-
“ভন্তে নাগসেন! আপনি যে নাম-রূপ বলিতেছেন, তন্মধ্যে
নাম কি আর রূপ
কি?”
“মহারাজ! তাহাদের মধ্যে যাহা স্থূল তাহা
রূপ (জড়); আর যে সমস্ত
সূক্ষ্ম চিত্ত-চৈতসিক ধর্ম আছে ইহারা
নাম (চেতন)।”
“ভন্তে নাগসেন! কি কারণে কেবল
নাম কিংবা কেবল রূপ জন্মগ্রহণ
করে না?”
“মহারাজ! নাম ও রূপ
উভয়ে পরস্পর আশ্রিত (এক অপরকে বিনা
বেশিক্ষণ থাকিতে পারে না)।
এই উভয়বিধ ধর্ম একত্রেই উৎপন্ন
হয়।”
“ভন্তে নাগসেন! উপমা প্রদান করুন।”
“মহারাজ! যদি মুরগীর কলল
(ডিমের শ্বেতাংশ) না হয়, তবে
অন্ডও (কুসুম) হয় না। এখানে
কলল ও অন্ড পরস্পরাশ্রিত।
এক সঙ্গেই উভয়ের উৎপত্তি হয়। এইরূপে মহারাজ!
যেখানে নাম হয় না
সে স্থানে রূপও হয়। নাম
ও রূপ উভয়ে পরস্পর
আশ্রিত, তাহাদের এক সঙ্গে উৎপত্তি
হয়। এইরূপে ইহারা চিরকাল চলিতেছে।”
“ভন্তে নাগসেন! আপনি দক্ষ।”
কালের বিষয়
৩৪। রাজা বলিলেন,
“ভন্তে নাগসেন! আপনি যে এখন
বলিলেন চিরকাল- এই কাল কি?”
“মহারাজ! ভূত, ভবিষ্যৎ ও
বর্তমানকে কাল বলে।”
“ভন্তে! সকল কাল আছে
কি?”
“মহারাজ! যে সকল সংস্কার
অতীত, বিগত, নিরুদ্ধ ও বিপরিণত হইয়াছে,
তাহাদের কাল নাই। যে
সকল কর্ম ফলস্বরূপ ও
যাহারা ফলোৎপাদ স্বভাবযুক্ত- যাহারা অন্য স্থানে পুনর্জন্ম
প্রদান করে, তাহাদের জন্য
কাল আছে। যে সকল
সত্ত্ব মৃত্যুর পর অন্য স্থানে
উৎপন্ন হইয়াছে, তাহাদের হয় না, তাহাদের
জন্য কাল আছে। যে
সকল সত্ত্ব মৃত্যুর পর অন্য স্থানে
উৎপন্ন হয় না, তাহাদের
জন্য কাল নাই। আর
যে সকল সত্ত্ব পরিনির্বাপিত
হইয়াছে, পরিনির্বাপিত হেতু তাহাদের জন্য
কাল নাই।”
“ভন্তে নাগসেন! আপনি দক্ষ।”
(দ্বিতীয় বর্গ সমাপ্ত)
---#চলমান।
পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য আমাদের সাথে থাকুন।
আমাদের কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আমরা আপনার কমেন্ট পড়া মাত্র প্রতিক্রিয়া জানাতে চেষ্টা করবো।