মেণ্ডক শ্রেষ্ঠীর কন্যা বিশাখার বিয়ের দিন শ্বশুরালয়ে পরস্পর শান্তি ও সম্প্রীতিতে বসবাসের জন্য বিশাখার বিশাখাকে দশটি উপদেশ প্রদান করেন। এই দশটি উপদেশ সর্বজনীন উপদেশ হিসেবে স্বীকৃত হয়। এ-দশটি উপদেশ হলো:
- ঘরের আগুন বাহিরে নিও না। অর্থাৎ শ্বশুর বাড়ির কারো দোষ দেখলে তা বাইরের কাউকে বলবে না।
- বাইরের আগুন ঘরে এনো না। অর্থাৎ প্রতিবেশী কেউ শ্বশুর বাড়ির কারো দোষের কথা বললে তা তোমার শ্বশুর বাড়ির কারো কাছে প্রকাশ করো না।
- যে দেয় তাকে দেবে। অর্থাৎ কেউ কিছু ধার নিয়ে ফেরত দিলে তাকে ধার দেবে।
- যে দেয় না তাকে দিয়ো না। অর্থাৎ যে-ব্যক্তি কোনকিছু ধার নিয়ে ফেরত দেয় না তাকে ধার দিয়ো না।
- যে দেয় অথবা না দেয় তাকেও দেবে। অর্থাৎ কোনো আত্মীয় গরিব হলে, ধার নিয়ে ফেরত দেওয়ার সামর্থ্য না থাকলে তাকেও ধার দিয়ো।
- সুখে আহার করবে। অর্থাৎ শ্বশুর বাড়ির গুরুজনদের খাওয়া শেষ হলে এবং অন্যান্যদের খাওয়া সম্পর্কে খবর নিয়ে তারপর নিজের আহার গ্রহণ করবে।
- সুখে উপবেশন করবে। অর্থাৎ এমন স্থানে বসবে যে স্থান থেকে গুরুজনদের দেখে উঠতে না হয়।
- সুখে শয়ন করবে। অর্থাৎ যাবতীয় গৃহকর্ম সমাধা করে গুরুজনদের শয়নের পর শয়ন করবে।
- অগ্নির পরিচর্যা করবে। অর্থাৎ গুরুজন ও ছোটদের সচেতনতার সাথে প্রয়োজনীয় সেবা শুশ্রুষা করবে।
- শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামী প্রভৃতি গুরুজনদের দেবতাজ্ঞানে ভক্তি করবে।
আরো পড়ুন>> থাইল্যান্ডে বৌদ্ধ বিবাহ প্রথা
এখনো বিবাহ অনুষ্ঠানসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে
এই উপদেশসমূহ প্রদান করা হয়। পারিবারিক সম্প্রীতি রক্ষার ক্ষেত্রে এ উপদেশগুলোর ভূমিকা
অপরিসীম। বিশাখার শ্বশুর মিগার শ্রেষ্ঠী এ বিয়েতে সাত দিনব্যাপী উৎসব পালন করেন। কোশলরাজ
প্রসেনজিতসহ বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এ বিয়েতে যোগদান করেছিলেন।
আমাদের কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আমরা আপনার কমেন্ট পড়া মাত্র প্রতিক্রিয়া জানাতে চেষ্টা করবো।