একদা ভগবান বুদ্ধ বৈশালীর সারন্দদ চৈত্যে বৃজিদের সম্মিলিত করে সপ্ত অপরিহানীয় ধৰ্ম্ম সমন্ধে উপদেশ দিয়েছিলেন। বৃজিগণ ভগবান বুদ্ধের প্রদত্ত নিন্মোক্ত উপদেশগুলি যথাযথভাবে প্রতিপালন করে প্রাচীন ভারতে নিজেদের অজেয় এবং উন্নত জাতিতে পরিণত করেছিলেন।
১। সভা-সমিতির মাধ্যমে যারা সর্বদা একত্রিত হয়-তাদের সর্বদা শ্রীবৃদ্ধি হয়।
২। যারা একতাবদ্ধভাবে সভা-সমিতিতে সম্মিলিত হয়, সভা শেষ হলে একত্রে চলে যায় এবং কোন প্রকার নতুন করণীয় উপস্থিত হলে সকলে মিলিতভাবে সম্পাদন করে-তাদের সর্বদা উন্নতি হয়ে থাকে এবং অবনতির পথ রুদ্ধ হয়ে যায়।
৩। যারা সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে নতুন কোন প্রকার দূর্নীতি চালু করে না, পূর্ব প্রচলিত সুনীতির উচ্ছেদ সাধনও করে না এবং প্রাচীন নীতিগুলি যথাযথভাবে পালন করে চলে- সর্বদা তাদের শ্রীবৃদ্ধিই হয়ে থাকে, পরিহানি হয় না।
৪। যারা বয়োবৃদ্ধদের সৎকার করে, তাদের প্রতি গৌরব প্রদর্শন করে, সম্মান ও পূজা করে এবং তাঁদের আদেশ পালন করা উচিত বলে মনে করে- পারিবারিক জীবনে সর্বদা তারা উন্নতি লাভ করে থাকে।
৫। যারা অন্য কুলবধু ও কুলকুমারীদেরকে বলপূর্বক ধরে এনে স্বীয় গৃহে আবদ্ধ করে রাখে না বা তাদের প্রতি কোন প্রকার অন্যায় আচরণ করে না- পারিবারিক
জীবনে সর্বদা তাদের শ্রীবৃদ্ধিই হয়ে থাকে, কখনও পরিহানি হয় না।
৬। যারা স্ব-গ্রামের বাইরে কিংবা অভ্যন্তরে পূর্বপুরুষগণের নির্মিত যে সমস্ত চৈত্য আছে, সেগুলির যথাযথ সংস্কারসাধন করে, রীতিমত পূজা-সৎকার করে এবং সেই চৈত্যগুলির উদ্দেশ্য পূর্বপুরুষদের প্রদত্ত সম্পত্তি নিজেরা ভোগ না করে চৈত্যের কাজে ব্যয় করে থাকে- পারিবারিক জীবনে তাদের সর্বদা উন্নতিই হয়ে থাকে কখনও অবনতি হয় না।
৭। যারা অহৎ ও শীলবান ভিক্ষুগনকে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি (চর্তুপ্রত্যয়) দান দিয়ে সেবা ও রক্ষা করে, তাদের সর্ববিধ সুখ সুবিধার ব্যবস্থা করে দেয়, দেশে যে সকল গুণী প্রজ্ঞাবান ভিক্ষু সংঘ আগমন করে নাই, কি প্রকারে তাদেরকে আনায়ন করা যায় সেই চিন্তা করে এবং স্ব-গ্রামে অবস্থিত অহৎ ও শীলবান ভিক্ষুগণ নিরাপদে অবস্থান করছেন কিনা সর্বদা সন্ধান নিয়ে থাকে পারিবারিক জীবনে সর্বদা তাদের শ্রীবৃদ্ধিই হয়ে থাকে, কখনও পরিহানি হতে পারে না।
আমাদের কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আমরা আপনার কমেন্ট পড়া মাত্র প্রতিক্রিয়া জানাতে চেষ্টা করবো।