হৃদয়ের দরজা খুলে দিন (পর্ব-১৭) চতুর্থ অধ্যায়


চতুর্থ অধ্যায়: রাগ ও ক্ষমা

#ঠিক আছে! অনেক হয়েছে! আমি চলে যাচ্ছি!- ৬২
রাগের আরেকটা ফল আমাদের মনে রাখা উচিত। সেটা হচ্ছে এটি আমাদের সম্পর্ককে ধ্বংস করে, এবং বন্ধুদের কাছ থেকে আমাদেরকে দূরে সরিয়ে দেয়। কেন এমন হয়? এত বছর একসাথে কাটিয়ে যখন তারা কোন ভুল করে, আমাদের মনে খুব দুঃখ দেয়, আমরা তখন কেন এমন রেগে যাই যে এতদিনের সম্পর্কটাকে শেষ করে দিই? কত চমৎকার মুহুর্তগুলো আমরা একসাথে কাটিয়েছি (৯৯৮টি ইট) সেগুলো এখন যেন তুচ্ছ ও নগণ্য। আমরা এখন দেখি একটিমাত্র মারাত্মক ভুলকে (২টি খারাপ ইট) আর এতেই পুরো জিনিসটাকে ধ্বংস করে দিই। এটা কেন জানি ন্যায্য বলে মনে হয় না। যদি আপনি একা হতে চান, তবে রাগী হোন।
এক তরুণ কানাডিয়ান দম্পতিকে আমি চিনতাম। তারা পার্থে তাদের কাজ শেষ করেছিল। অস্ট্রেলিয়া থেকে কানাডার টরন্টোতে ফিরে যাওয়ার প্ল্যান করতে গিয়ে তাদের মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো, তারা সাগর পাড়ি দিয়ে কানাডায় যাবে। তারা ছোট একটা ইয়ট কেনার প্ল্যান করল। তাদেরকে ইয়ট কিনতে সাহায্য করলো আরো এক তরুণ দম্পতি। তারাও প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে কানাডার ভ্যাংকুভারে যেতে চায়। সেখানে তারা ইয়টটাকে বিক্রি করে তাদের টাকাটা তুলে নেবে আর সেই টাকা দিয়ে বাড়ি বানাবে। এটা কেবল অর্থনৈতিকভাবেই লাভজনক ছিল না, বরংএকজোড়া তরুণ দম্পতির জন্য এটা ছিল জীবনের একটা রোমাঞ্চকর অভিযান।
নিরাপদে কানাডায় পৌঁছে তারা আমাকে একটা চিঠি লিখে তাদের সেই চমৎকার অভিযানের কথা জানালো। বিশেষ করে তারা একটা ঘটনার কথা উল্লেখ করলো যা থেকে দেখা যায় রেগে গেলে আমরা কেমন বোকা বনে যেতে পারি, আর কেনই বা রাগকে দমন করতে হয় তার কারণ।
ভ্রমণের মাঝপথে প্রশান্ত মহাসাগরের কোন এক জায়গায় তীর থেকে বহু বহু কিলোমিটার দূরে তাদের ইয়টের ইঞ্জিন বিগড়ে গেল। তরুণ দুজন কাজের পোশাক পরে নিয়ে ছোট ইঞ্জিন রুমে নেমে গেল এবং ইঞ্জিনটা সারানোর চেষ্টা করলো। তরুণী দুজন ইয়টের ডেকে বসে আরামদায়ক রোদে ম্যাগাজিন পড়তে লাগল।
ইঞ্জিন রুমটা গরম ও খুব ছোট ছিল। ইঞ্জিনটা যেন একগুঁয়ে হয়ে গিয়েছিল, কিছুতেই সারতে চাইছিল না। বড় বড় নাটগুলো যেন কিছুতেই ঘুরতে চাচ্ছিল না, ছোট কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ স্ক্রুগুলো পিছলে গিয়ে হাত থেকে পড়ে যাচ্ছিল, আর এমন ফাঁক ফোঁকরের মধ্যে গিয়ে পড়ছিল যে সেখান থেকে সেগুলো খুঁজে পাওয়াও দায়, তুলে আনা দূরের কথা। লীকগুলো কিছুতেই বন্ধ হতে চাচ্ছিল না। এমন দিশেহারা অবস্থা রুদ্ররোষের জন্ম দিল। প্রথমে ইঞ্জিনটাকে দুষলো তারা, পরে দুষতে শুরু করলো পরস্পরকে। এমন রুদ্ররোষ শীঘ্রই পরিণত হলো রাগে। রাগ পরিণত হলো উন্মত্ততায়। একজন রেগেমেগে হাল ছেড়ে দিল। যথেষ্ট হয়েছে তার। সে হাতের রেঞ্চ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে চিৎকার করে বলল, ‘ঠিক আছে! অনেক হয়েছে! আমি চলে যাচ্ছি!’
সে রাগে এমন উন্মত্ত হয়ে গেল যে তার কেবিনে ঢুকে সাফসুতরো হয়ে কাপড় বদলে নিয়ে, ব্যাগ ট্যাগ গুছিয়ে ইয়টের ডেকে বেরিয়ে এল। রাগে তখনো ফুঁসছে সে, গায়ে জ্যাকেট, দুহাতে ধরা দুটো ব্যাগ।
মেয়ে দুজন বলেছিল যে তাদের নাকি হাসতে হাসতে বোট থেকে গড়িয়ে পড়ে যাবার মতো অবস্থা। বেচারা তরুণটি চারপাশের অসীম সাগরে চোখ বুলিয়ে নিল, যতদূর দুচোখ যায় ততদূর পর্যন্ত, সবখানে। যাওয়ার কোথাও জায়গা ছিল না।
সে এমন বোকা হয়ে গেল যে নিজের ভুল বুঝতে পেরে লজ্জায় লাল হয়ে গেল। তাড়াতাড়ি কেবিনে ফিরে গিয়ে সবকিছু আবার ব্যাগ থেকে বের করল, কাজের পোশাক পরল আবার, আর ইঞ্জিনরুমে ফিরে গেল অন্যজনকে সাহায্য করতে। সে বাধ্য হয়েছিল ফিরে যেতে। যাওয়ার আর কোথাও জায়গা ছিল না যে।

#কীভাবে বিদ্রোহ থামাতে হয়- ৬৪
যখন আমাদের উপলদ্ধি হয় যে, যাওয়ার কোথাও জায়গা নেই, তখন আমরা পালিয়ে না গিয়ে সমস্যার মোকাবেলা করি। বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান আছে, যা আমরা উল্টো দিকে দৌড় মারতে গিয়ে খেয়ালই করি না। আগের গল্পে ইয়টের ইঞ্জিনটা ঠিক হয়ে গিয়েছিল, তরুণ দুজন শ্রেষ্ঠ বন্ধু হয়ে গিয়েছিল আর ভ্রমণের বাকি অংশটা তারা একসাথে দারুণভাবে কাটিয়েছিল।
আমাদের এই জগতে লোকজন যখন একসাথে থাকার জন্য কাছাকাছি চলে আসে, তখন নিজেদের সমস্যাগুলোর সমাধান নিজেদেরকেই করতে হয়। পালানোর কোন পথ নেই। আমরা আর বেশি মতপার্থক্য নিয়ে চলতে পারি না।
১৯৭০ এর মাঝামাঝি সময়ে আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছিলাম, কীভাবে একটা দেশের সরকার একটা বড় সংকটের এমন চমৎকার সমাধান খুঁজে পেয়েছিল, যে সংকটটা তাদের দেশের গণতন্ত্রের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছিল।
১৯৭৫ সালে কয়েকদিনের মাথায় দক্ষিণ ভিয়েতনাম, লাওস ও কম্বোডিয়া কমিউনিস্টদের  হাতে চলে গেল। পশ্চিমা শক্তিগুলো ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যে থাইল্যান্ড হচ্ছে এর পরবর্তী শিকার। সেই সময় আমি উত্তর পূর্ব থাইল্যান্ডে একজন নবীন ভিক্ষু হয়েছি মাত্র। যে বিহারে আমি থাকতাম, তা হ্যানয়ের যতটা কাছে ছিল, ব্যাংকক থেকে ছিল এর দ্বিগুণ দূরে। আমাদেরকে দূতাবাসে গিয়ে রেজিস্টারে নাম লেখাতে বলা হলো আর আমাদেরকে সরিয়ে নেওয়ার প্ল্যানও রেডি করা হলো। বেশিরভাগ পশ্চিমা সরকার অবাক হয়ে গিয়েছিল, যখন তারা দেখল যে থাইল্যান্ড পড়ে যায় নি।
আজান চাহ্ তখন বেশ বিখ্যাত ছিলেন। অনেক উচ্চপদস্থ থাই জেনারেল ও সংসদের সিনিয়র সদস্যরা উপদেশ ও অনুপ্রেরণা নিতে তার বিহারে যেতেন। আমি তখন থাই ভাষা স্বচ্ছন্দে বলতে পারি। লাও ভাষাও বলতে পারি কিছু কিছু। তাই পরিস্থিতির গুরুত্বটা বুঝতে বেগ পেতে হয় নি। থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী ও সরকার বাইরের কমিউনিস্ট কর্মীদের নিয়ে অতটা উদ্বিগ্ন ছিল না, তাদের যত উদ্বেগ ছিল দেশের ভেতরের কমিউনিস্ট কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে।
অনেক মেধাবী থাই ইউনিভার্সিটির ছাত্র উত্তর পূর্ব থাইল্যান্ডের জঙ্গলে ঢুকে আভ্যন্তরীণ থাই কমিউনিস্ট গেরিলা বাহিনীকে সাহায্য করতে লাগল। বর্ডারের বাইরে থেকে তাদের জন্য অস্ত্র, গোলাবারুদ, ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হতে লাগলো। সেই অঞ্চলের গ্রামবাসীরাও তাদেরকে খুশিমনে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় রসদপত্র যোগাতে লাগলো। তাদের ছিল স্থানীয় সমর্থন। তারা হয়ে উঠছিল এক ভয়ংকর হুমকি।
থাই সামরিক বাহিনী ও সরকার এর সমাধান করলো তিন ধাপের একটি সমন্বিত কৌশলে।
১. সংযম
সামরিক বাহিনী কোন কমিউনিস্ট ঘাঁটিকে আক্রমণ করলো না। যদিও প্রত্যেকটি সৈন্য জানত তারা সেগুলো কোথায়। যখন আমি ১৯৭৯-৮০ সালের দিকে শুধু জঙ্গলে কাটিয়েছি, নির্জনে ধ্যান করার জন্য পাহাড়, পর্বত ও জঙ্গল খুঁজে বেরিয়েছি, তখন মাঝে মাঝে আর্মিদের সাথে দেখা হতো। তারা আমাকে একটা পাহাড় আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিত, এবং ওদিকে যেতে মানা করত- ওখানে কমিউনিস্টদের আস্তানা। তারা অন্য পাহাড় দেখিয়ে দিয়ে বলত ওটা ধ্যান করার জন্য ভালো জায়গা, ওখানে কোন কমিউনিস্ট নেই। তাদের পরামর্শ আমাকে মানতে হয়েছিল। আমি শুনেছিলাম, সেই বছর কমিউনিস্টরা কয়েকজন ধুতাঙ্গ ভিক্ষুকে জঙ্গলে ধ্যান করার সময় ধরে ফেলে এবং পরে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছিল।
২. ক্ষমা
এই বিপদজনক সময়ে সেখানে তখন অঘোষিত যুদ্ধবিরতি চলছিল। যখনই কোন কমিউনিস্ট বিদ্রোহী আত্মসমর্পণ করতে চাইতো, সে সহজেই অস্ত্র ত্যাগ করে গ্রামে বা ইউনিভার্সিটিতে ফিরে যেতে পারতো। তাকে হয়তো চোখে চোখে রাখা হতো, কিন্তু কোন শাস্তি দেওয়া হতো না। আমি একবার কো ওং জেলার এক গ্রামে পৌঁছলাম যেখানে কয়েকমাস আগে কমিউনিস্টরা এমবুশ করে তাদের গ্রামের বাইরে এক জীপ থাই সৈন্যকে মেরে ফেলেছিল। গ্রামের তরুণেরা বেশিরভাগই কমিউনিস্টদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল যদিও তারা সরাসরি কমিউনিস্টদের কাজ করতো না। তারা আমাকে বলেছিল যে তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, হেনস্থা করা হয়েছে, কিন্তু পরে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
৩. মূল সমস্যার সমাধান
সেই বছরগুলোতে আমি দেখতাম নতুন নতুন রাস্তাঘাট তৈরি হচ্ছে, পুরনো পথগুলো পাকা করা হচ্ছে। গ্রামবাসীরা এখন তাদের উৎপাদিত পণ্যগুলো সহজেই শহরে বিক্রির জন্য নিয়ে যেতে পারে। থাইল্যান্ডের রাজা ব্যক্তিগতভাবে শত শত পানি সেচ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের খোঁজখবর নিয়েছেন যাতে গরীব কৃষকরা প্রত্যেক বছর দ্বিতীয়বার ফসল ফলাতে পারে।প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছিল পাড়ায় পাড়ায়। তার সাথে সাথে আসল একটি করে স্কুল ও ক্লিনিক। থাইল্যান্ডের সবচেয়ে দরিদ্র অঞ্চলটাকে ব্যাংককের সরকার দেখাশোনা করছে, যার ফলে গ্রামবাসীরা আগের থেকে উন্নত হয়ে উঠলো।
একজন থাই সৈন্য জঙ্গলে টহল দেওয়ার সময় আমাকে এই কথাগুলো বলেছিল:
কমিউনিস্টদের গুলি করার কোন প্রয়োজন নেই আমাদের। তারা আমাদেরই থাই বন্ধুবান্ধব। তারা পাহাড় থেকে নামার সময় অথবা গ্রাম থেকে রসদ আনতে যাবার সময় যখন তাদের সাথে আমার দেখা হয়, আমরা সবাই পরস্পরকে চিনি। আমি তাদেরকে আমার নতুন হাতঘড়িটা দেখাই, অথবা আমার নতুন রেডিওতে শোনাই একটা থাই গান- তখন তারা কমিউনিস্ট হওয়াটা ত্যাগ করে।
সেটা তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, এবং অন্যান্য সৈন্যদের অভিজ্ঞতাও একই।
থাই কমিউনিস্টরা তাদের সরকারের প্রতি এমন রাগ নিয়ে বিদ্রোহ শুরু করেছিল যে তারা তাদের তরুণ জীবন উৎসর্গ করতেও প্রস্তুত ছিল। কিন্তু সরকারের সংযম প্রদর্শনের ফলে তাদের রাগ খারাপের দিকে গড়ানোর সুযোগ পায় নি। ক্ষমা ও অঘোষিত অস্ত্রবিরতি তাদেরকে নিরাপদ ও সম্মানজনক পথে বেরিয়ে আসার সুযোগ করে দিয়েছিল। উন্নয়নের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে গরীব গ্রামবাসীদেরকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করা হয়েছিল। গ্রামবাসীরা কমিউনিস্টদেরকে সাহায্য করার আর কোন কারণ খুঁজে পেল না। সরকর তাদেরকে যেরূপ উন্নয়ন করে দিয়েছে, তাতে তারা যারপরনাই সন্তুষ্ট। ওদিকে কমিউনিস্টদের মনে নানা প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছিল- তারা এটা কী করছে? এই জঙ্গলে ঢাকা পাহাড় পর্বতে এমন কষ্টের মাঝে জীবন কাটাচ্ছে কেন তারা?
একের পর এক তারা অস্ত্র জমা দিয়ে নিজ নিজ পরিবারে, গ্রামে বা ইউনিভার্সিটিতে ফিরে গেল। ১৯৮০ এর প্রারম্ভে বলতে গেলে আর কোন বিদ্রোহীই অবশিষ্ট রইলো না। অতএব কমিউনিস্টদের লিডাররাও আত্মসমর্পণ করল। আমি ব্যাংকক পোস্ট নামের একটা সংবাদপত্রে একটা লেখা পড়েছিলাম একজন নবীন উদ্যোক্তাকে নিয়ে, যে থাই টুরিস্টদেরকে জঙ্গলে, গুহায় কমিউনিস্টদের ফেলে যাওয়া আস্তানা দেখিয়ে আনতো।
সেই কমিউনিস্ট বিদ্রোহের নেতাদের ভাগ্যে কী ঘটেছিল? সেই একই নিঃশর্ত ক্ষমার প্রস্তাব কি তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়েছিল? ঠিক সেরকম ঘটে নি। তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হয়নি, নির্বাসনও দেওয়া হয় নি। তার বদলে তাদেরকে থাই প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছিল তাদের নেতৃত্বের গুণাবলী, কঠোর পরিশ্রমের ক্ষমতা এবং জনগণের প্রতি তাদের চিন্তার স্বীকৃতি হিসেবে। কী কৌশল! এমন সাহসী ও নিবেদিতপ্রাণ যুবসম্পদকে কেন নষ্ট করতে যাওয়া? তার চেয়ে কাজে লাগাও তাদেরকে।
এটি একটি সত্যি ঘটনা যা আমি সেই সময়ের সৈন্য ও গ্রামবাসীদের কাছ থেকে শুনেছি। এটি এমন একটি ঘটনা যা আমি দুচোখে প্রত্যক্ষ করেছি। দুঃখের বিষয়, এটি পরবর্তীতে কোথাও উল্লেখ করা হয় নি।
এই বই লেখার সময়ে, সেই প্রাক্তন কমিউনিস্ট নেতাদের দুজন তখন থাই জাতীয় সংসদে মন্ত্রী হিসেবে দেশের জন্য কাজ করছিলেন।
                                                                                                                           --------------------চলমান

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

আমাদের ওয়েবসাইট আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকিজ ব্যবহার করে। দয়া করে সম্মতি দিন। Learn More
Accept !