রাজগৃহ নগরে বর্ষকার নামক জনৈক ব্রাহ্মণ বাস করিতেন। তিনি মহাকচ্চায়ণ ভান্তেকে গৃধ্রকুট পর্বত হইতে অবতরণ করিতে দেখিয়া 'ইনিত বানরের মত দেখতে 'এইরূপ কটূক্তি করিয়াছিলেন।
বুদ্ধ ব্রাহ্মণের এই কথা পরস্পর জানিতে পারিয়া বলিলেন-বর্ষকার ব্রাহ্মণ যদি অপরাধ স্বীকার করিয়া কচ্চায়ণের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, উত্তম। যদি না করে, তাহা হইলে মৃত্যুর পর বানর হইয়া এই বেনুবনেই বিচরণ করিবে। বর্ষকার পরস্পরের নিকট বুদ্ধের এই ভবিষ্যত বাণী শ্রবণ করিয়া চিন্তা করিলেন- সর্বজ্ঞ বুদ্ধের বাক্য অন্যথা হয় না। যাহা বলেন তাহাই হয়। তিনি অভিমানবশে ভান্তের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিলেন না।বানর হইলে খাইতে পারিব বলে মনে করিয়া অতি যত্নে বেণুবনে নানাবিধ ফলের বৃক্ষ রোপণ করিতে লাগিলেন। তিনি যথাকালে মৃত্যুর পর বেণুবনে বানর হইয়া জম্ম গ্রহণ করিলেন। তাহার রোপিত সেই বাগানের ফল ফুল ভক্ষণ করিয়া জীবন ধারণ করিতে লাগিল। তখনও তাহাকে বর্ষকার বলিয়া আহ্বান করিলে সম্মুখে আসিয়া দাঁড়াইত।
প্রিয় মিত্রগণ, এই ঘটনায় বুঝা যায় যে, অপরাধের ক্ষমা প্রার্থনা না করিলে স্বর্গ মোক্ষের অন্তরায় ঘটে। বিশেষ করে ভান্তেদিগদের প্রতি কোন সময় কু-মন্তব্য করা অনুচিত। সংঘকে সৎ জ্ঞানে পূজা ও সম্মান করা প্রত্যেক ধর্ম প্রাণ উপাসক উপাসিকাদের নৈতিক কর্তব্য। ভান্তের সমালোচনা করা হীনলোকের কাজ। ধর্ম পালন করুন, অধর্ম ত্যাগ করুন ।
দেশকঃ- কর্ম রক্ষিত ভান্তে ,কলকাতা, দমদম
আমাদের কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আমরা আপনার কমেন্ট পড়া মাত্র প্রতিক্রিয়া জানাতে চেষ্টা করবো।