ভারতীয় বৌদ্ধ পণ্ডিত প্রফেসর বিমলেন্দ্র কুমার তাঁর অভিধর্ম দর্শনশাস্ত্র শীর্ষক বইয়ের একটি সংশোধিত ও আপডেট সংস্করণ প্রকাশ করেছেন। লেখক Dependent co-arising বিষয়টির উপর ভিত্তি করে বইটির বর্ণনা দিয়েছেন। “সম্পর্ক তত্ত্ব” বিষয়ে বিশদ আলোচনার বইটিতে সাতটি অধ্যায় সমন্বিত করেছেন।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ইং বিহার রাজ্যের
নব নালন্দা মহা বিহারের দর্শন বিভাগের পক্ষ থেকে যোগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপর ভিত্তি
করে ১৫তম নালন্দা সংলাপ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বইটি প্রকাশ করা হয়। সম্মেলনে
মগধ ইউনিভার্সিটির সহ-উপাচার্য প্রফেসর রাজেন্দ্র প্রসাদ, অখিল
ভারতীয় ইতিহাস সংকলন যোজন এর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. বাল মুকুন্দ পান্ডে, বি.এন মন্ডল
ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক অভা সিং, সহ বিশিষ্ট পন্ডিত, বিজ্ঞানী এবং যোগি অনুশীলনকারীগণ উপস্থিতিত
ছিল।
অধ্যাপক কুমার বলেন,
"দর্শন বিষয়ে মাস্টার্সের জন্য প্রবন্ধটি ১৯৮৮ সালে পূর্ব বুক পাবলিশার্স, দিল্লি দ্বারা বৌদ্ধ দর্শনে থিওরি অফ রিলেশনস হিসাবে প্রকাশ করা হয়েছিল। বইটি অধ্যাপক জি. সি পান্ডে পর্যালোচনা করেছিলেন এবং ভারতীয় ঐতিহাসিক
গবেষণা কাউন্সিল এর ত্রৈমাসিক ষোড়শ খন্ড সংখ্যা ১-২ এ প্রকাশ
করা হয়েছিল।”
ইস্টার্ন বুক লিংকার, দিল্লি দ্বারা প্রকাশিত
সাম্প্রতিক নতুন সংশোধিত সংস্করণ সম্পর্কে প্রফেসর কুমার বলেন- “আমার একাডেমিক
শিক্ষাকালীন সময় বিভিন্ন সেমিনার এবং সম্মেলনে সম্পর্ক তত্ত্ব সম্পর্কিত কিছু গবেষণাপত্র উপস্থাপন করি এবং সময়ে সময়ে পণ্ডিতদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়াও পেয়েছি"।
অভিধর্ম দর্শনের প্রথম অধ্যায় মন এবং পদার্থের পারস্পরিক সম্পর্ক পরীক্ষা করে।
দ্বিতীয় অধ্যায়ে পথনাপাকরণ এবং এর কথোপোকতন ব্যাখ্যা, সংজ্ঞা ও উদাহরণ সহ ২৪ ধরণের সম্পর্কের বিশ্লেষণমূলক বিবরণ আলোচনা করা হয়েছে।
তৃতীয়
ও চতুর্থ অধ্যায়ে ৫ দরজার চেতনা প্রক্রিয়ার সাথে কি ভাবে মন ও বস্তু সম্পর্ক বজায়
রাখে এবং সম্পর্ক তত্ত্বের সাহায্যে মন-দরজা চেতনা কিভাবে তাদের নিজ নিজ বস্তু উপলদ্ধি
করে সে বিষয়ে বলা হয়েছে।
পঞ্চম অধ্যায়ে সম্পর্ক তত্ত্বের মাধ্যমে নির্ভরশীল সহ-উত্থানের ব্যাখ্যা রয়েছে।
ষষ্ঠ অধ্যায়ে থেরবাদ ও সর্বস্বতবাদ অভিধিধর্ম ঐতিহ্য সম্পর্কে বিবরণ রয়েছে।
সপ্তম অধ্যায়ে
মানব সম্পর্কের গুরুত্বকে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়েছে যেমন মনস্তাত্ত্বিক জীবন, নৈতিক জীবন, ধর্মীয় জীবন, সামাজিক আচরণ।
এই অধ্যায়ে কিছু অন্যান্য দার্শনিক আদর্শ যেমন, চারটি আর্য্য সত্য, আর্য্য অষ্টাঙ্গিক
মার্গ, নির্ভরশীল সহ-উত্থান তত্ত্ব, কর্ম তত্ত্ব এবং পুনর্জন্ম তত্ত্ব।
বইটি পড়ে সহজে বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে ধারনা
লাভ করা যায় বিশেষত চতুরার্য্য সত্য, আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ, কর্ম তত্ত্ব ও পুনর্জন্ম
তত্ত্ব।
আমাদের কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আমরা আপনার কমেন্ট পড়া মাত্র প্রতিক্রিয়া জানাতে চেষ্টা করবো।