শ্রীলঙ্কায় ঐতিহাসিক রায়
শ্রীলঙ্কার সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি এক ঐতিহাসিক রায়ে ঘোষণা করেছে যে পূর্ণভাবে দীক্ষিত বৌদ্ধ ভিক্ষুণীদের সরকারিভাবে ভিক্ষুণী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এই রায়ে ধর্মদীপ্তা ভিক্ষুণী, যিনি রঙ্গিরি দাম্বুল সংঘের অধীনে পূর্ণ দীক্ষা নিয়েছেন, তাঁকে ‘সীল মাথা’ নয় বরং ‘ভিক্ষুণী’ উপাধিতে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাংবিধানিক সমতার পুনরুত্থান
আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, যদি তিনি
পুরুষ হতেন, তবে এমন কোনো সমস্যায় পড়তেন না। এই বৈষম্য শ্রীলঙ্কার সংবিধানের ১২(১)
অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। এটি শুধু ব্যক্তিগত অধিকার নয়, বরং একটি বৃহত্তর ন্যায়বিচারের
প্রশ্ন।
ইতিহাস ও সংগ্রামের পটভূমি
শ্রীলঙ্কায় ভিক্ষুণী শৃঙ্খলা বিলুপ্ত
হয়েছিল ১০১৭ খ্রিষ্টাব্দে। বহু শতাব্দী ধরে নারীরা শুধুমাত্র ‘সীল মাথা’ হিসেবে ধর্মজীবন
পালন করতেন। ১৯৯৬ সালে ভারতে পূর্ণ দীক্ষা পুনরায় শুরু হয়, যা নারীদের ধর্মীয় জীবনে
অন্তর্ভুক্তির নতুন দরজা খুলে দেয়।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও প্রতিক্রিয়া
আন্তর্জাতিক সংগঠন INEB এই রায়কে
একটি যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেছে। তাদের মতে, এটি কেবল ধর্মীয় মর্যাদার স্বীকৃতি
নয়, বরং সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও নারীর আত্মমর্যাদার প্রতিফলন।
নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত
এই রায়ের ফলে শুধু ধর্মদীপ্তা ভিক্ষুণী
নয়, বরং শ্রীলঙ্কার হাজারো নারী যারা পূর্ণভিক্ষুণী হয়েছেন, তারা তাঁদের প্রাপ্য রাষ্ট্রীয়
স্বীকৃতি ও সম্মান লাভে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন।
আমাদের কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আমরা আপনার কমেন্ট পড়া মাত্র প্রতিক্রিয়া জানাতে চেষ্টা করবো।