নাগসেনের প্রব্রজ্যা
২৬। তখন বালক নাগসেন মাতাপিতার কাছে গিয়া
কহিলেন-
“এই
প্রব্রজিত জগতের সর্বোত্তম মন্ত্র জানেন বলিয়াছেন। কিন্তু নিকট প্রব্রজিত না
হইলে শিক্ষা দেন না। আমি
তাহার নিকট প্রবাহ করিয়া
সেই মন্ত্র শিক্ষা করিব।"
তাহার মাতা পিতা চিন্তা
করিলেন- “আমাদের পুত্র প্রব্রজিত হইয়া। শিক্ষা করুক, শিক্ষার পর পুনঃ ফিরিয়া
আসিবে।” অতএব পুত্র,
তুমি শিক্ষা কর' বলিয়া তাহারা
অনুমতি দিলেন। তখন আয়ম্মান রোহণ নাগসেনকে
লইয়া বর্তনীয় আশ্রমের বিজম্ভবত্থুতে গেলেন। বিজম্ভবত্থুতে এক রাত্রি বাস
করিয়া রক্ষিত হলে গমন করিলেন।
তথায় গিয়া কোটিশত অরহতগণের মধ্যে নাগসেনকে প্রব্রজিত করিলেন।
২৭। নাগসেন প্রব্রজিত
হইয়া আয়ুষ্মন রোহণকে কহিলেন- ‘ভন্তে। এখন আমি আপনার
বেশ গ্রহণ করিয়াছি, অতএব এখন আমাকে
মন্ত্র-দান করুন।”
তখন আয়ুষ্মন রোহণ
চিন্তা করিলেন- “সূত্র, বিনয়, অভিধর্মের মধ্যে তাহাকে প্রথমতঃ কি শিক্ষা দিতে
পারি?” পুনশ্চ চিন্তা করিলেন যে, নাগসেন পন্ডিত,
সুতরাং সহজেই অভিধর্ম শিক্ষা করিতে পারিবে। অতএব রোহণ প্রথমে
তাহাকে অভিধর্মই শিক্ষা দিতে লাগিলেন।
আয়ুস্মান নাগসেন কুশল ধর্ম, অকুশল
ধর্ম ও অব্যাকৃত ধর্ম
এই ত্রিক ও দ্বিক প্রতিমন্ডিত
(১) ধম্মসঙ্গণি প্রকরণ; স্কন্ধ বিভঙ্গাদি অষ্টাদশ বিভঙ্গে প্রতিমন্ডিত (২) বিভঙ্গ প্রকরণ;
সংগ্রহ অসংগ্রহ ইত্যাদি চতুর্দশ ভাবে বিভক্ত (৩)
ধাতু কথা প্রকরণ; স্কন্ধ
প্ৰজ্ঞপ্তি, আয়তন প্রজ্ঞপ্তি প্রভৃতি ছয়প্রকারে বিভক্ত (৪) পুগগল পঞঞক্তি
প্রকরণ; স্বমতের পঞ্চশত সূত্র, পরমতের পঞ্চশত সূত্র এই সহস্র সূত্রের
সম্মিলিত আলোচনা (৫) কথাবত্থু প্রকরণ;
মূল যমক, স্কন্ধ যমকাদি
দশ প্রকারে বিভক্ত (৬) যমক প্রকরণ;
হেতু প্রত্যয়, আরস্মণ প্রত্যয়াদি চব্বিশ প্রকারে বিভক্ত (৭) পট্ঠান
প্রকরণ; এই সমগ্র অভিধর্ম
পিটক একবার শুনিয়াই শিক্ষা করিলেন ও মুখস্থ করিলেন।
তৎপর করিলেন- “ভন্তে! আর বিস্তার করিবেন
না, ইহাতেই আমি আবৃত্তি করিতে
পারিব।”
২৮। তখন আয়ুস্মান
নাগসেন কোটি শত অর্হতদের
নিকট উপস্থিত হইয়া কহিলেন- “ভন্তে! আমি কুশল ধর্ম,
অকুশল ধর্ম ও অব্যাকৃত
ধর্ম এই তিন পদে
প্রক্ষেপ করিয়া সমগ্র অভিধর্ম পিটক বিস্তৃতভাবে বর্ণনা
করিতে পারিব।”
“সাধু, নাগসেন, বর্ণনা কর।
তখন আয়ুস্মান নাগসেন
সাত মাসে সপ্ত অভিধর্ম
প্রকরণ বিস্তারপূর্বক প্রকাশ করিলেন। পৃথিবী কম্পিত হইল, দেবতারা সাধুবাদ
দিলেন, ব্রহ্মাগণ করতালি দিলেন, দিব্য চন্দন চূর্ণ ও মন্দার পুষ্পরাশি
প্রবর্ষিত হইল। বিংশতি বর্ষ
পরিপূর্ণ হইলে কোটিশত অরহতগণ
রক্ষিততলে আয়ুস্মান নাগসেনকে উপসম্প্রদা প্রদান করিলেন।
নাগসেনের অপরাধ ও দন্ডকর্ম
২৯ । উপসম্প্রদার
এক রাত্রি পর পূর্বাহ্ন সময়ে
আয়ুস্মান নাগসেন পাত্র চীবর লইয়া স্বীয়
উপাধ্যায়ের সহিত ভিক্ষাৰ্থ গ্রামে
প্রবেশ করিলেন। সেই সময় তাহার
মনে এই চিন্তা হইল—
“ অহো! আমার উপাধ্যায় তুচ্ছ,
মুর্খ। ভগবান বুদ্ধের সর্বশ্রেষ্ঠ উপদেশ ছাড়িয়া তিনি আমাকে প্রথমে
অভিধর্ম শিক্ষা দিলেন।”
তখন আয়ুষ্মন রোহণ
স্বীয় ধ্যানবলে নাগসেনের চিত্ত-বিতর্ক অবগত হইয়া কহিলেন-
“নাগসেন! তোমার মনে অন্যায় বিতর্ক
উৎপন্ন হইয়াছে। এই চিন্তা করা
তোমার উচিত নহে।”
সেই সময় নাগসেনের
মনে হইল- “বড়ই আশ্চর্য! বড়ই
অদ্ভুত! আমার উপাধ্যায় স্বীয়
চিত্ত দ্বারা অপরের চিত্ত-বিতর্ক জানিতে পারেন। আমার উপাধ্যায় বড়ই
পন্ডিত। তাঁহার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা
করা আমার উচিত। এই
চিন্তা করিয়া নাগসেন কহিলে - “ভন্তে! আমাকে ক্ষমা করুন। আর কখনো। এইরূপ
চিন্তা করিব না।"
আয়ুষ্মন রোহণ বলিলেন- “নাগসেন!
কেবল ইহাতেই আমি ক্ষমা করিতে
পারি না। বৎস! সাগল
নামে এক নগর আছে,
তথায় রাজা মিলিন্দ রাজত্ব
করেন। তিনি মিথ্যাদৃষ্টি সম্পর্কিত
প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়া ভিক্ষুসংঘকে বিব্রত করিতেছেন। যদি তুমি সেখানে
গিয়া সেই রাজাকে দমন
করিয়া বুদ্ধধর্মে প্রসন্ন করিতে পার তবে আমি
তোমাকে ক্ষমা করিব।”
“ভন্তে! এক মিলিন্দ রাজা
কেন, যদি জম্বুদ্বীপের সকল
রাজা আসিয়া আমাকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন, তথাপি আমি সকলের প্রশ্নোত্তর
দিয়া তাহাদিগকে দমন করিব। আপনি
আমাকে ক্ষমা করুন।
“ক্ষমা করিব না।”
“তাহা হইলে ভন্তে,
বর্ষার এই তিন মাস
আমি কাহার সঙ্গে বাস ১ করিব?”
৩০। “নাগসেন! ' বর্তনীয়
আশ্রমে আয়ুষ্মন অশ্বগুপ্ত বাস করেন। তুমি
তাঁহার নিকট যাও, আমার
বাক্যে তাঁহার পাদপদ্মে নতশিরে প্রণাম কর, আর তাঁহাকে
বল- ভন্তে! আমার উপাধ্যায় আপনার
পাদপদ্মে নতশিরে। প্রণাম জানাইতেছেন। আপনার নিরাময়, নিরাতঙ্ক, প্রফুল্ল ভাব, স্বাস্থ্য ও
সুস্থতা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করিয়াছেন। এই তিন মাস
আপনার নিকট বাস করিবার
নিমিত্ত আমাকে পাঠাইয়াছেন। তোমার উপাধ্যায়ের নাম কি? যদি
জিজ্ঞাসা করেন তবে বলিতে
পার ‘রোহণ স্থবির’। যদি বলেন,
“আমার নাম কি? 'তবে বলিবে‘
ভন্তে। আপনার নাম আমার উপাধ্যায়
জানেন।“
“আচ্ছা ভন্তে!" বলিয়া আয়ুস্মান নাগসেন মাননীয় রোহন স্থবিরকে প্রণাম
ও প্রদক্ষিণপূর্বক পাত্র-চীবর লইয়া যাত্রা
করিলেন এবং ক্রমশঃ বিচরণ করিতে
করিতে বর্তনীয় আশ্রমে আয়ুষ্মন অশ্বগুপ্তের নিকট পৌছিলেন। তাহার
কাছে গিয়া প্রণাম করিয়া এক প্রান্তে দাঁড়াইলেন।
দাঁড়াইয়া তাঁহাকে কহিলেন- “ভন্তে! আমার উপাধ্যায় আপনার
পাদপদ্মো নতশিরে প্রণাম জানাইয়াছেন এবং আপনার নিরাময়,
নিরাতঙ্ক, প্রফুল্ল ভাব, স্বাস্থ্য ও
সস সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করিয়াছেন। আমার উপাধ্যায় তিন
মাস আপনার সঙ্গে বস করিবার জন্য
আমাকে পাঠাইয়াছেন।”
আয়ুষ্মন অশ্বগুপ্ত কহিলেন- “তোমার নাম কি?”
“ভন্তে! আমার নাম নগসেন।”
“তোমার উপাধ্যায়ের নাম কি?”
“ভন্তে! আমার উপাধ্যায়ের নাম
রোহণ স্থবির।"
“আমার নাম কি?”
“ভন্তে! আপনার নাম আমার উপাধ্যায়
জানেন।”
"উত্তম, নাগসেন! নিজের পাত্র-চীবর সামলাইয়া রাখ।”
পাত্র-চীবর রাখিবার পর
পরের দিন পরিবেণ সম্মার্জন
করিয়া যথাস্থানে মুখ ধুইবার জল
ও দন্তকাষ্ঠ রাখিয়া দিলেন। স্থবির সম্মার্জিত স্থান পুনঃ পরিষ্কার কহিলেন,
সেই জল ফেলিয়া অন্য
জল লইলেন, সেই দন্তকাষ্ঠ ছাড়িয়া
অন্য গ্রহণ করিলেন এবং আর কোন
আলাপ করিলেন না। সাত দিন
এই প্রকার করিয়া সপ্তম দিনে পুনরায় ঐ
প্রশ্নগুলি জিজ্ঞাসা করিলেন। পুনশ্চ নাগসেন তদ্রুপ উত্তর দিলে তাহাকে তিনি
বর্ষাবাস অধিষ্ঠানের অনুমতি দিলেন।
নাগসেনের উপদেশ দান
৩১ । সেই
সময় এক মহাউপাসিকা ত্রিশ
বৎসর হইতে আয়ুষ্মন অশ্বগুপ্তকে
সেবা করিতেছিলেন। সেই মহাউপাসিকা ত্রৈমাসিক
(বর্ষাব্রত) অতিবাহিত হইলে আয়ুস্মান অশ্বগুপ্তের
নিকট আসিয়া বলিলেন- “বাবা! আপনার সঙ্গে অপর কোন ভিক্ষু
আছেন কি?”
“হ্যাঁ উপাসিকা! আমার সঙ্গে নাগসেন
নামে এক ভিক্ষু আছেন।”
"তাহা হইলে ভন্তে!
আয়ুষ্মান নাগসেন সহ আগামীকাল আমার
বাড়িতে ভোজনের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করুন।”
আয়ুষ্মান অশ্বগুপ্ত মৌনভাবে স্বীকার করিলেন। আয়ুষ্মান অশ্বগুপ্ত ঐ রাত্রির পর
পূর্বাহ্ন সময়ে বস্ত্র পরিহিত হইয়া পাত্র লইয়া অনুগামী নাগসেন সহ মহাউপাসিকার বাড়িতে
পৌছিলেন এবং সজ্জিত আসনে
বসিলেন। মহাউপাসিকা স্বহস্তে উত্তম খাদ্যভোজ্য দ্বারা সাদিগকে সন্তর্পিত করিলেন, পরিতৃপ্ত করিলেন। অনন্তর আয়ুষ্মন অশ্বগুপ্ত ভোজনশেষে পাত্র হইতে হস্ত উত্তোলন
করিয়া নাগসেনকে কহিলেন- “নাগসেন, মহাউপাসিকার দান অনুমোদন কর।"
এই বলিয়া তিনি আসন হইতে
উঠিয়া চলিয়া গেলেন।
৩২। অনন্তর, সেই
মহাউপাসিকা আয়ুস্মান নাগসেনকে কহিলেন- “বাবা নাগসেন! আমি
বৃদ্ধা হইয়াছি, আমাকে গভীর ধর্মোপদেশ দান
করুন।” আয়ুস্মান নাগসেনও তাহাকে লোকোত্তর শূন্যতা (নির্বাণ) সম্বন্ধীয় গভীর ধর্মোপদেশ দান
করিলেন। সেই সময় মহাউপাসিকার
সেই আসনেই নির্মল নিষ্কলঙ্ক চর্ম-চক্ষু উৎপন্ন
হইল যে, যাহা কিছু
উৎপন্ন হয়, তাহার সমস্তই
বিনাশশীল।'
আয়ুস্মান নাগসেনও উপাসিকাকে ধর্মোপদেশ দিয়া নিজের উপদিষ্ট ধর্ম। প্রত্যবেক্ষণ করিতে করিতে বিদর্শন-ভাবনা আরম্ভ করিয়া সেই আসনে উপবিষ্ট
অবস্থায় স্রোতাপত্তি ফলে প্রতিষ্ঠিত হইলেন।
৩৩। তখন আয়ুষ্মন
অশ্বগুপ্ত (মন্ডলমালে) স্বীয় আসনে উপবিষ্ট অবস্থায়।
দুই জনেরই ধর্মজ্ঞান লাভের বিষয় অবগত হইয়া সাধুবাদ
দিলেন- “সাধু, সাধু নাগসেন! তুমি
এক বাণে দুই মহাকায়
বিদীর্ণ করিলে।" বহু সহস্র দেবতাও
সাধুবাদ প্রদান করিলেন।
সেই সময় আয়ুষ্মান
নাগসেন আসন হইতে উঠিয়া
মাননীয় অশ্বগুপ্ত স্থবিরের নিকট গমন করিলেন
এবং তাঁহাকে প্রণাম করিয়া এক প্রান্তে বসিলেন।
নাগসেনের পাটলিপুত্র গমন
আয়ুস্মান অশ্বগুপ্ত এক প্রান্তে উপবিষ্ট
নাগসেনকে কহিলেন- “তুমি পাটলিপুত্রে যাও।
পাটলিপুত্র নগরের অশোকারামে আয়ুষ্মন ধর্মরক্ষিত বাস করেন। তাহার
নিকট বুদ্ধবাণী সম্পূর্ণ অধ্যয়ন কর।”
“ভন্তে! এই স্থান হইতে
পাটলিপুত্র নগর কত দূর?”
“এক শত যোজন।”
“ভন্তে! পথ বহু দূর,
মধ্যপথে ভিক্ষাও দুর্লভ, আমি কি প্রকারে
যাইব?”
“নাগসেন! যাও, পথে ভিক্ষা
পাইবে-কালবর্জিত (বিশুদ্ধ) শালি চাউলের অন্ন,
অনেক প্রকারের সূপ ও ব্যজ্ঞন।"
“আচ্ছা ভন্তে!" বলিয়া আয়ুস্মান নাগসেন মাননীয় অশ্বগুপ্ত স্থবিরকে প্রণাম ও প্রদক্ষিণ করিয়া
পাত্র-চীবর গ্রহণপূর্বক পাটলিপুত্র
অভিমুখে যাত্রা কুরিলেন।
৩৪। সেই সময়
পাটলিপুত্রে এক বণিক পশত
শকট সহ পাটপুত্র অভিমুখে
যাইতেছিলেন। তিনি দূর হইতে
আয়ুষ্মান নাগসেনকে আসিতে দেখিলেন এবং তাঁহার নিকট
গিয়া প্ৰণামপূর্বক জিজ্ঞাসা করিলেন- “বাবা! কোথায় যাইতেছেন?”
“গৃহপতি! আমি পাটলিপুত্র যাইতেছি।”
“উত্তম, বাবা! আমরাও পাটলিপুত্র যাইতেছি। আমাদের সহিত আপনি সুখে
চলুন।” তখন পাটলিপুত্রের বণিক
আয়ুস্মান নাগসেনের আচার-ব্যবহারে সন্তুষ্ট
হইলেন। তিনি আয়ুষ্মান নাগসেনকে
স্বহস্তে ভোজন করাইলেন। তাঁহার
ভোজনের পর তিনি এক
নীচ আসন লইয়া বসিলেন
এবং কহিলেন- “বাবা! আপনার নাম কি?“
“আমার নাম নাগসেন।”
“আপিন ভগবান বুদ্ধের
উপদেশ জানেন কি ?“
“আমি অভিধর্ম বিষয়ে
জানি।”
“আমাদের সৌভাগ্য, আমাদের মহালাভ। আমিও আভিধার্মিক, আর
আপনি আভিধর্মিক। বাবা! অভিধর্ম বিষয়ে বলুন।”
তখন, আয়ুস্মান নাগসেন
তাঁহাকে অভিধর্ম বিষয় উপদেশ করিলেন। ধর্মোপদেশ করিবার সময়েই পাটলিপুত্রের শ্রেষ্ঠীর নির্মল ধর্মজ্ঞানচক্ষু উৎপন্ন হইল-যাহা কিছু
উৎপন্ন হয়, তাহা বিনাশপ্রাপ্ত
হয়।'
৩৫। অনন্তর পাটলিপুত্রের
বণিক তাঁহার পঞ্চশত শকট অগ্রে চালাইয়া
দিয়া নাগসেন সহ পশ্চাৎ পশ্চাৎ
যাইতে যাইতে পাটলিপুত্রের নিকট পৌঁছিলেন। তথায়
দুই পথের সংযোগস্থলে দাঁড়াইয়া
শ্রেষ্ঠী নাগসেনকে কহিলেন- “বাবা! ইহাই অশোকারামের পথ;
ষোল হাত দীর্ঘ ও
আট হাত প্রস্থ আমাদের
এই উত্তম কম্বল, অনুগ্রহপূর্বক আপনি গ্রহণ করুন।”
আয়ুস্মান নাগসেন দয়া করিয়া সেই
উওম কম্বল গ্রহণ করিলেন। তখন সেই শ্রেষ্ঠ
সন্তুষ্ঠ, প্রীতিযুক্ত ও প্রমোদিত হইয়া
নাগসেনকে প্রণাম ও প্রদক্ষিণ করিয়া
চলিয়া গেলেন।
৩৬। তৎপর নাগসেন
অশোকারামে ভদন্ত ধর্মরক্ষিতের নিকট গিয়া প্রণামপূর্বক
আগমনের উদ্দেশ্য নিবেদন করিলেন।
---#চলমান।
পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য আমাদের সাথে থাকুন।
আমাদের কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আমরা আপনার কমেন্ট পড়া মাত্র প্রতিক্রিয়া জানাতে চেষ্টা করবো।