তৃতীয় অধ্যায়: ভয় এবং ব্যথা
#লোকজনের
সামনে কথা বলতে ভয় পাওয়া- ৪০
আমি শুনেছি, বড় ভয়গুলোর একটা হলো জনগণের
সামনে কথা বলার ভয়। আমাকে প্রচুর কথা বলতে হয় জনগণের সামনে, বিহারে, আলোচনা সভায়, বিয়ের
অনুষ্ঠানে, দাহক্রিয়ায়, রেডিওতে, টেলিভিশনে, সরাসরি সাক্ষাৎকারে। এটা আমার পেশার একটা
অংশ।
আমার মনে পড়ে, কোন এক সময় দেশনা দেওয়ার
পাঁচ মিনিট আগে ভয় আমাকে পুরোপুরি গ্রাস করে ফেলেছিল। আমার কোন প্রস্তুতিই ছিল না।
কী যে দেশনা দেব, সে বিষয়ে আমার কোন ধারণা ছিল না। দেশনা হলে তখন প্রায় তিনশ জন লোক
একটা ভালো, অনুপ্রেরণামূলক দেশনা শোনার আশায় আমার দেশনা শুনতে এসেছিল। আমি ভাবতে লাগলাম:
‘যদি বলার মতো কিছু খুঁজে না পাই, তাহলে কী হবে? যদি ভুল কিছু বলে বসি? যদি বোকার মত
কিছু করে ফেলি?’
সমস্ত ভয়ের শুরু হয় ‘যদি... তাহলে কী
হবে?’ এমন চিন্তা থেকে এবং যা একেবারে ভয়ংকর পরিণামের চিন্তার দিকে গড়ায়। আমি ভবিষ্যতের
অনুমান করছিলাম এবং নাবোধক ভবিষ্যতের কথাই ভাবছিলাম। আমি ছিলাম বোকা। আমি জানতাম আমি
বোকার মতো ভাবছি। আমি থিওরি অনুযায়ী সবকিছু জানতাম, কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছিল না। মনে
সীমাহীন ভয় ঢুকতে শুরু করেছিল। আমি বেশ ঝামেলায় পড়ে গিয়েছিলাম।
এখন যখনই আমি দেশনা দিই, আমি মজা করি।
আমি নিজেকে উপভোগ করি। আমি মজার মজার গল্প বলি, তা প্রায়ই বলি নিজেকে হাসাতে, আর সেগুলো
শুনে শ্রোতাদের সাথে সাথে আমিও হাসি। একবার সিঙ্গাপুরে রেডিওতে সরাসরি সংলাপে ভবিষ্যতের
টাকা পয়সা কেমন হবে সে সম্পর্কে আজান চাহ এর ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে বলেছিলাম (সিঙ্গাপুরিয়ানরা
অর্থনৈতিক ব্যাপারে খুব আগ্রহী)।
আজান চাহ্ একবার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন
যে পৃথিবীতে একদিন টাকা বানানোর কাগজ ফুরিয়ে যাবে, পয়সা বানানোর ধাতু ফুরিয়ে যাবে।
লোকজন তখন দৈনন্দিন লেনদেনের জন্য অন্য জিনিস ব্যবহার করবে। তিনি বলেছিলেন, লোকজন তখন
মুরগির শুকনো বিষ্ঠাকে টাকা পয়সারূপে ব্যবহার করবে। তারা পকেটে করে মুরগির বিষ্ঠা নিয়ে
ঘুরবে। ব্যাংকের ভল্ট মুরগির বিষ্ঠায় পরিপূর্ণ থাকবে। ডাকাতেরা সেগুলো লুট করতে চাইবে।
ধনীরা গর্বে নাক উঁচু করে বেড়াবে যে তাদের কাছে এত বেশি মুরগির বিষ্ঠা আছে। গরীবরা
লটারিতে এক বিরাট স্তুপ মুরগির বিষ্ঠা পাওয়ার স্বপ্ন দেখবে। সরকার তাদের দেশের মুরগির
বিষ্ঠার অবস্থার দিকে বিশেষ মনোযোগ দেবে এবং সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যাগুলো মুরগির
বিষ্ঠার চেয়ে কম গুরুত্ব পাবে।
টাকা, পয়সা ও মুরগির বিষ্ঠার মধ্যে মৌলিক
পার্থক্যটা কী? কোন পার্থক্য নেই।
আমি গল্পটা বলতে বেশ উপভোগ করি। এটা আমাদের
প্রচলিত সংস্কৃতির এক মর্মান্তিক চিত্র তুলে ধরে। এটি মজারও বটে। সিঙ্গাপুরিয়ান শ্রোতারা
গল্পটা পছন্দ করেছিল।
আমি বুঝে গিয়েছিলাম যে লোকজনের সামনে
বক্তৃতা দিয়ে আপনি যদি মজা পেতে চান, তাহলে রিল্যাক্স করুন। মনে একই সাথে ভয় ও মজা
থাকাটা মনস্তত্ত্ববিদ্যামতে অসম্ভব। যখন আমি রিল্যাক্স থাকি, দেশনার সশয় আইডিয়াগুলো
মনে আসতে থাকে একটার পর একটা, আর মুখ দিয়ে সেগুলো মসৃণভাবে কথার ঝংকার হয়ে বেরিয়ে পড়ে।
তাছাড়া, শ্রোতারা মজার কথা শুনতে বিরক্ত বোধ করে না।
একবার একজন তিব্বতীয় ভিক্ষু দেশনার সময়
শ্রোতাদেরকে হাসানোর গুরুত্ব সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছিল। সে বলেছিল, ‘যখন তারা হাসার
জন্য মুখ খুলবে, আপনি তখন তাদের মুখে জ্ঞানের ট্যাবলেট ছুঁড়ে দিতে পারবেন।’
আমি কখনই দেশনার প্রস্তুতি নিই না। বরং
আমি হৃদয় ও মনকে প্রস্তুত করি। থাইল্যান্ডে ভিক্ষুদেরকে শেখানো হয় যেন তারা কখনই দেশনা
প্রস্তুত না করে, বরং যে কোন সময় বিনা নোটিশে দেশনা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। [ দেশনা
প্রস্তুত করবে না, প্রস্তুত করবে নিজেকে]
তখন ছিল মাঘী পূর্ণিমা, উত্তর পূর্ব থাইল্যান্ডে
সেটা বছরের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। আমি ছিলাম আজান চাহ্ এর বিহার ওয়াট পা পং এ।
সেখানে ভিক্ষু ছিল দুইশ এর মতো, আর উপাসক উপাসিকা ছিল কয়েক হাজার। আজান চাহ্ খুব বিখ্যাত
ছিলেন। তখন ভিক্ষু হিসেবে আমার বয়স ছিল পাঁচ বছর।
সন্ধ্যার পরে দেশনার সময়। এমন প্রধান
প্রধান অনুষ্ঠানে আজান চাহ সাধারণত নিজেই দেশনা করেন। কিন্তু সবসময় নয়। মাঝে মাঝে তিনি
ভিক্ষুদের সারিতে চোখ বুলিয়ে নেন। যদি তার দৃষ্টি আপনার উপর এসে থামে, তাহলে আপনি ঝামেলায়
পড়ে গেছেন। তিনি আপনাকে দেশনা দিতে বলবেন। যদিও আমি সিনিয়র ভিক্ষুদের তুলনায় এখনো নবীন,
তবুও নিশ্চিত করে কিছুই বলা যায় না, আজান চাহ্ কখন কাকে দেশনা দিতে বলেন।
তিনি ভিক্ষুদের সারিতে চোখ বুলালেন। তার
দৃষ্টি আমাকে ফেলে সামনে এগিয়ে গেল। আমি নিরবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। এরপরে তার
দৃষ্টি আবার সামনে থেকে পিছনে এগিয়ে আসতে লাগল। ভাবুন তো কার উপর তার দৃষ্টি থেমে গেল?
‘ব্রাহম্! ’ আজান চাহ্ নির্দেশ দিলেন,
‘প্রধান দেশনাটা দাও।’
পালানোর পথ ছিল না। অপ্রস্তুত অবস্থায়
আমাকে থাই ভাষায় এক ঘন্টা ধরে দেশনা দিতে হলো আমার গুরুর সামনে, ভিক্ষুদের সামনে এবং
হাজার হাজার লোকজনের সামনে। দেশনাটা ভালো হয়েছিল কি হয় নি, সেটা ব্যাপার না। ব্যাপার
হলো, আমি দেশনা দিয়েছিলাম।
আজান চাহ্ আপনাকে কখনোই বলবেন না দেশনা
ভালো হয়েছে কি হয় নি। ব্যাপারটা সেটা নয়। একবার তিনি একজন সুদক্ষ পশ্চিমা ভিক্ষুকে
সাপ্তাহিক উপোসথের দিনে জড়ো হওয়া উপাসক উপাসিকাদের সামনে দেশনা দিতে বললেন। এক ঘন্টা
থাই ভাষায় দেশনা দিয়ে ভিক্ষুটি তা সমাপ্ত করার প্রস্তুতি নিল। আজান চাহ্ তাকে শেষ করতে
দিলেন না, আরো এক ঘন্টা বলতে বললেন। এটি ছিল কঠিন কাজ। তবুও সে বলল। কোনমতে থাই ভাষায়
যখন সে দ্বিতীয় ঘন্টার দেশনা শেষ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, আজান চাহ্ আরো এক ঘন্টা দেশনা
দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। এটি ছিল অসম্ভব। পশ্চিমা ভিক্ষু হিসেবে কতটুকুই বা থাই ভাষা
জানে সে? তখন আপনাকে একই কথা বার বার বলতে হবে। শ্রোতারা বিরক্ত। কিন্তু আপনার করার
কিছু নেই। তৃতীয় ঘন্টা শেষে বেশির ভাগ লোক উঠে চলে গেল, কয়েকজন যারা ছিল তারা নিজেদের
মধ্যেই কথা বলছিল। এমনকি মশা ও টিকটিকিরাও ঘুমিয়ে গিয়েছিল। তৃতীয় ঘন্টা শেষে আজান চাহ্
আরো এক ঘন্টা দেশনা দিতে বললেন! পশ্চিমা ভিক্ষুটি তার নির্দেশ পালন করল। সে বলেছিল
যে, এমন একটা অভিজ্ঞতার পরে (দেশনাটা চার ঘন্টা
পরে তবেই শেষ হয়েছিল) যখন আপনি শ্রোতাদের প্রতিক্রিয়া যাচাই করতে যাবেন, তখন আর জনসমক্ষে
বক্তৃতা দিতে ভয় পাবেন না।
এভাবেই আমরা মহান আজান চাহ্ এর কাছ থেকে
ট্রেনিং পেয়েছিলাম।
#ব্যথার
ভয়- ৪৪
ব্যথার অন্যতম প্রধান উপাদান হচ্ছে ভয়।
এটাই ব্যথাকে তীব্রতর করে। ভয়কে সরিয়ে দিন, কেবল অনুভূতিটা থাকবে।
১৯৭০ এর মাঝামাঝি সময়ে উত্তর পূর্ব থাইল্যান্ডের
দরিদ্র ও দুর্গম বনবিহারে আমার ভীষণ দাঁতের ব্যথা শুরু হয়। সেখানে না ছিল কোন ডেন্টিস্ট,
না ছিল টেলিফোন, না ছিল বিদ্যুৎ। ওষুধের বাক্সে সামান্য প্যারাসিটামল পর্যন্ত ছিল না।
বনভিক্ষুরা সহনশীল হবে, এটাই আশা করা হয়।
সন্ধ্যার পরে, অসুখের বেলায় সচরাচর যেমনটি
হয় আর কি, দাঁতের ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হলো। আমি নিজেকে বেশ শক্তসমর্থ বন ভিক্ষু
ভাবতাম। কিন্তু এই দাঁতের ব্যথার কাছে আমার সামর্থ্যরে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হলো। আমার
মুখের একপাশ ব্যথায় শক্ত হয়ে গেল। এমন দাঁতের ব্যথা এই জনমে আর হয় নি। আমি শ্বাস প্রশ্বাসের
ধ্যানে বসে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে চাইলাম। আমি শিখেছিলাম, মশার কামড় সত্ত্বেও কীভাবে
শ্বাসপ্রশ্বাসে মনকে কেন্দ্রীভূত করা যায়। মাঝে মাঝে আমি এক থেকে চল্লিশ পর্যন্ত গুণতাম।
একটা অনুভূতিতে মনোযোগ দিলে অন্য অনুভূতি আর থাকতো না। কিন্তু এবারের ব্যথাটা ছিল অসাধারণ।
আমি মাত্র দুই তিন সেকেন্ড শ্বাস প্রশ্বাসে মনোযোগ দেওয়ার পরপরই ব্যথাটা আরো ভয়ংকর
হয়ে ফিরে আসতো।
আমি উঠে বসলাম, বাইরে গিয়ে চংক্রমণ করার
চেষ্টা করলাম। খুব শীঘ্রই সেটাও বাদ দিতে হলো। আমি চংক্রমণ করছিলাম না, সত্যিকার অর্থেই
দৌড়াচ্ছিলাম, কোনমতেই ধীরস্থির হয়ে হাঁটতে পারছিলাম না। ব্যথাটা আমাকে নিয়ন্ত্রণ করছিল,
এটা আমাকে দৌড়াতে বাধ্য করছিল। কিন্তু যাওয়ার কোন জায়গা ছিল না। আমি ব্যথায় দিশেহারা
হয়ে গিয়েছিলাম, কেবল পাগল হওয়া বাকি।
আমি দৌড়ে কুটিরে ঢুকে গেলাম, বসে পড়ে
সূত্র আবৃত্তি শুরু করলাম। বৌদ্ধ সূত্রগুলো অলৌকিক শক্তি ধারণ করে বলে সবাই বলে। তারা
আপনাকে সৌভাগ্য এনে দিতে পারে, বিপদজনক প্রাণীগুলোকে দূরে রাখতে পারে, অসুখ ও ব্যথা
ভালো করে দিতে পারে এমনটিই বলা হয়। আমি সেটা বিশ্বাস করতাম না, আমি বিজ্ঞানী হিসেবে
প্রশিক্ষণ নিয়েছি। যাদুকরী সূত্রগুলো সব ভুয়া, বুজরুকি। সেগুলো সহজ সরলদের জন্য যারা
সবকিছু সহজে বিশ্বাস করে। তাই আমি সূত্র আবৃত্তি শুরু করলাম এই অযৌক্তিক আশায় যে এতে
কাজ হবে। আমি বেপরোয়া হয়ে গিয়েছিলাম। শীঘ্রই আমাকে সেটাও থামাতে হলো। আমি বুঝতে পারছিলাম
আমি চীৎকার করে প্রত্যেকটি শব্দ উচ্চারণ করছি। তখন অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল, আমার ভয় ছিল
অন্যরা না শুনে ফেলে! যেভাবে তীব্র স্বরে সূত্র আবৃত্তি করছিলাম, তাতে মনে হয় কয়েক
কিলোমিটার দূরের গ্রামের লোকজনকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলেছিলাম। ব্যথার শক্তি আমাকে স্বাভাবিকভাবে
সূত্র আবৃত্তি করতে দেয় নি।
আমি ছিলাম একা, স্বদেশ থেকে হাজার মাইল
দূরে, দুর্গম এক জঙ্গলে যেখানে কোন সুযোগ সুবিধা নেই, অসহ্য ব্যথা থেকে পালাবার কোন
পথ নেই। আমি যা যা জানি সব চেষ্টা করেছিলাম, একেবারে সবকিছু। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ
হয় নি।
এমন বেপরোয়া মুহুর্তগুলো প্রজ্ঞার দরজাগুলোকে
খুলে দেয়, স্বাভাবিক জীবনে যেগুলোর দেখা পাওয়া ভার। ঠিক সেই মুহুর্তে এমনই এক প্রজ্ঞার
দরজা খুলে গিয়েছিল আমার সামনে এবং আমি সেই দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম। সত্যি কথা
বলতে কী, আমার আর কোন বিকল্প ছিল না।
আমার মনে পড়ল দুটো ছোট্ট শব্দ, ‘যেতে
দাও’। আমি এই শব্দগুলো আগেও বহুবার শুনেছি। আমার বন্ধুদেরকেও
এর ব্যাখ্যা করে দিয়েছি অনেকবার। আমি ভাবতাম এর অর্থ আমি জানি: মোহ এমনই হয়।
আমি যেকোন কিছু চেষ্টা করে দেখতে রাজি
ছিলাম, তাই আমি যেতে দেওয়ার চেষ্টা করলাম। একশত পার্সেন্ট যেতে দেওয়ার চেষ্টা করলাম।
জীবনে প্রথমবারের মত আমি সত্যিকার অর্থেই যেতে দিলাম।
পরে যা ঘটলো তা আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দিল।
সেই ভয়ানক ব্যথাটা নিমেষেই উধাও হয়ে গেল। তার জায়গায় মনোহর এক সুখ জায়গা করে নিল। আনন্দের
ঢেউ একটার পর একটা এসে আমার সারা শরীরকে ভাসিয়ে নিল। আমার মন গভীর প্রশান্তিতে ভরে
গেল, এত শান্ত ও উপভোগ্য হলো যে বলার মত নয়। আমি সহজেই, অনায়াসে ধ্যানে বসলাম। ধ্যানের
পরে আমি কিছুক্ষণ রেস্ট নিতে শুয়ে পড়লাম, আর গভীর ও শান্তির একটা ঘুম দিলাম। বিহারের
দায়িত্ব ও কর্তব্যের জন্য যথাসময়ে যখন ঘুম থেকে জাগলাম, তখন খেয়াল করলাম যে আমার দাঁতে
ব্যথা, কিন্তু সেটা গতরাতের তুলনায় কিছুই নয়।
-------------চলমান
আমাদের কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আমরা আপনার কমেন্ট পড়া মাত্র প্রতিক্রিয়া জানাতে চেষ্টা করবো।