১. শরনির্মাতা তীরের ফলাকে যেমন সোজা করে জ্ঞানী পুরুষ স্পন্দনশীল, চঞ্চল, দুরক্ষণীয় ও দুর্নিবার্য চিত্তকে সেইরূপ সরল করেন।
২. জলাবাস হইতে উদ্ধৃত এবং স্থলে নিক্ষিপ্ত মৎস্যের ন্যায় এই চিত্ত ও মাররাজ্য ছাড়িবার নিমিত্ত ব্যাকুল হয়।
৩. দুর্দমনীয়, লঘুগতি, যথেচ্ছবিচরণশীল চিত্তের দমন মঙ্গলজনক; দমিত চিত্ত সুখাবহ হয়।
৪. বিজ্ঞব্যক্তি অতি দুর্বোধ্য, সুদক্ষ ও যথেচ্ছবিচরণশীল চিত্তকে রক্ষা করিবেন; সুরক্ষিত চিত্ত সুখাবহ হয়।
৫. দূরগামী, একচর, অশরীর ও হৃদয়গুহাশ্রিত চিত্তকে যাঁহারা সংযত করেন তাঁহারা মারবন্ধন হইতে মুক্ত হন।
৬. যাহার চিত্ত অনবস্থিত, যে ব্যক্তি সদ্ধর্মানভিজ্ঞ ও যাহার প্রসন্নতা বিক্ষুব্ধ, তাহার প্রজ্ঞা কখনও পরিপূর্ণ হয় না।
৭. যাহার চিত্ত অনাসক্ত ও অবিচলিত, যিনি পাপ-পূণ্যের বন্ধন পরিহার করিয়াছেন, সেই জাগ্রত ব্যক্তির পতনভয় আর থাকে না।
৮. এই দেহকে কুম্ভবৎ (ভঙ্গুর) মনে করিয়া এই চিত্তকে নগরের ন্যায় সুরক্ষিত করিয়া প্রজ্ঞাস্ত্র দ্বারা মারের সহিত যুদ্ধ কর, এইরূপে বিজিত ধনকে সযত্নে রক্ষা কর; কিন্তু তৎপ্রতি আসক্তি রাখিও না।
৯. হায় ! অচিরে এই দেহ বিজ্ঞানহীন হইয়া তুচ্ছ অকিঞ্চিৎকর কাষ্ঠখন্ডের ন্যায় দরাশায়ী হইবে।
১০. বৈরী বৈরীর বা শত্রু শত্রুর যতখানী (অনিষ্ট) করে, মিথ্যায় আকৃষ্ট চিত্ত মানুষের তদপেক্ষা অধিক ক্ষতি করিয়া থাকে।
১১. মাতাপিতা কিংবা জ্ঞাতিবর্গ যে উপকার মানুষের করিতে পারে না, সত্যনিবিষ্ট চিত্ত তাহার ততোধিক উপকার করে।
আমাদের কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আমরা আপনার কমেন্ট পড়া মাত্র প্রতিক্রিয়া জানাতে চেষ্টা করবো।