মহানিদ্দেস (খুদ্দকনিকায়ের ৫ম গ্রন্থ)


ক্ষমা প্রার্থনা

প্রথমই ক্ষমা প্রার্থনা করে নিচ্ছি বইটি অনুবাদক বা প্রকাশকের অনুমতি ছাড়াই ‘ত্রিশরণ’ ব্লগ সাইটে প্রচার করার জন্য। বইটির ফ্রি ভার্সন অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন সাইটে, এই যুক্তিকে পুজি করে আমাদের ব্লগে বইটি পর্ব পর্ব করে লিখতে উৎসাহিত হলাম। যদি এই কাজটি অনুবাদক বা প্রকাশক বে-আইনি মনে করে তাহলে shimulios@outlook.com এ মেইল বা 01829-628378 নাম্বারে জানিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। আপনাদের আপত্তি পাওয়ার সাথে সাথে আমরা আমার ব্লগ থেকে বই এর সকল অংশ সরিয়ে পেলতে বাধ্য থাকবো।

শিমুল বড়ুয়া ‍উনন
এডমিন 

গ্রন্থ পরিচিতিঃ

মহানির্দেশ (মহানিদ্দেস) গ্রন্থটি সূত্রপিটকস্থ খুদ্দকনিকায়ের পঞ্চদশ গ্রন্থ (ষষ্ঠ সঙ্গীতি বা সঙ্গায়ন সিডি-এর মতে)। ‘নির্দেশ শব্দের অর্থ ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ, বর্ণনা, পার্থক্য নিরূপণ, বৈশ্লেষণিক ব্যাখ্যা, ব্যক্তি বা বস্তু অথবা কোনো বিষয়ের গুণ বা ধর্ম অঙ্কন। কাজেই মহানির্দেশ গ্রন্থটি যে একটি বিশ্লেষণ-সম্বন্ধীয় পুস্তক এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। সহজ কথায় মহানির্দেশ একটি ব্যাখ্যামূলক পুস্তকের নামবিশেষ। এখানে ধর্মসেনাপতি, অনুবুদ্ধ শারীপুত্র স্থবির কর্তৃক ভগবান বুদ্ধভাষিত সুত্তনিপাতের অষ্টক-বর্গ সূত্রের ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণই গ্রন্থিত হয়েছে। অনেক বৌদ্ধপ-িত, বিশ্লেষকগণের মতে মহানির্দেশ মূলত সুত্তনিপাতের অষ্টক-বর্গের টীকাগ্রন্থ সদৃশ। এই মহানির্দেশ তথা নির্দেশ গ্রন্থ হতেই মূল ত্রিপিকের অর্থকথা বা ভাষ্য রচনার সূচনা হয়। বিষয়বস্তু ও রচনারীতিতে মহানির্দেশ গ্রন্থটি ত্রিপিটকের অন্যান্য মূল গ্রন্থ হতে ভিন্ন প্রকৃতির। মহানির্দেশে আলোচিত অট্ঠক বা অষ্টক-বর্গে ষোলটি সূত্রের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
সূত্রগুলো হলো : ১) কামসূত্র, ২) গুহা-অষ্টক সূত্র, ৩) দুষ্ট-অষ্টক সূত্র, ৪) শুদ্ধ- অষ্টক সূত্র, ৫) পরম-অষ্টক সূত্র, ৬) জরা সূত্র, ৭) তিষ্য মৈত্রেয় সূত্র, ৮) প্রসূর সূত্র, ৯) মাগ-িয় সূত্র, ১০) পুরাভেদ সূত্র, ১১) কলঙ্গ-বিবাদ সূত্র, ১২) চূলবিযূহ সূত্র, ১৩) মহা-বিযূহ সূত্র, ১৪) তুবট্টক সূত্র, ১৫) আত্মদ- সূত্র, ১৬) সারিপুত্র সূত্র। প্রথমে সূত্রের গাথাগুলো উদ্ধৃতি দিয়ে পরে প্রতিটি গাথার বিশ্লেষণ করা হয়েছে, আভিধানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। আর বিশেষ বিশেষ শব্দের অর্থ বোধগম্য করে তুলতে ত্রিপিটকের অন্য গ্রন্থ হতেও উদ্ধৃতি টানা হয়েছে ক্ষেত্রবিশেষে। একটি শব্দের বহু প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ দেওয়া হয়েছে নিখুঁতভাবে। বুদ্ধের জীবিতাবস্থায়ও তাঁর উপদিষ্ট সূত্রগুলো পাঠ করার সময় কীভাবে ব্যাখ্যা করা হতো, তা আলোচ্য মহানির্দেশ গ্রন্থ হতে অনুমান করা যায়।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশঃ

বইটি বাংলায় অনুবাদ করে আমাদের জন্য বোধগম্য করে তোলার জন্য অনুবাদকদ্বয় পূজনীয়, শ্রীমৎ ইন্দ্রগুপ্ত ভিক্ষু শ্রীমৎ বঙ্গীশ ভিক্ষু  শ্রীমৎ অজিত ভিক্ষু শ্রীমৎ সীবক ভিক্ষু ও যারা সার্বিক সহযোগীতা করেছেন সকলের নিকট আমরা চিরকৃতজ্ঞ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

আমাদের ওয়েবসাইট আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকিজ ব্যবহার করে। দয়া করে সম্মতি দিন। Learn More
Accept !