ভূমিকম্পের কারণ
৩৪। “ভন্তে নাগসেন! ভগবান বলিয়াছেন, ভিক্ষুগণ! কোন বড় ভূমিকম্প উৎপত্তির আটটিহেতুও কারণ আছে।” ইহা তাঁহার অশেষ বচন, নিঃশেষ বচন এবং নিষ্পর্যায় বচন। বড় ভূমিকম্পউৎপত্তির আর নবম কারণ নাই। যদি ভন্তে কোন নবম কারণ থাকিত তবে উহা’ত অবশ্যই বলিতেন।কোন নবম কারণ নাই, তজ্জন্য ভগবান তাহা বলেন নাই। কিন্তু বড় ভূমিকম্প উৎপত্তির এই নবমকারণ ও দেখা যায়। যখন রাজা বেস্সান্তর মহাদান দিয়াছেন তখন সাত বার মহাপৃথিবী কম্পিতহইয়াছিল। ভন্তে! যদি বড় ভূমিকম্পের মাত্র আট হেতু কারণ থাকে তবে বেস্সান্তর রাজার মহাদানদিবার সময় পৃথিবী সাতবার কম্পিত হইয়াছিল, এই যে কথা ইহা মিথ্যা। আর যদি রাজা বেস্সান্তরেরমহাদান দিবার সময় মহাপৃথিবী সাত বার কম্পিত হইয়া থাকে তবে বড় ভূমিকম্প উৎপত্তির মাত্রআটটি কারণ, এই বাক্য মিথ্যা।
“ভন্তে! ইহাও উভয়কোটিক প্রশ্ন, এবং ইহা অতিসূক্ষ্ম, দুঃসাধ্য, ভ্রান্তিকর ও
গভীর। ইহা আপনার নিকট উপস্থাপিত হইয়াছে। আপনার ন্যায় বুদ্ধিমান ব্যতীত এ সমস্যার সমধান
অন্য স্বল্পবুদ্ধির পক্ষে সম্ভব নহে।”
৩৫। “মহারাজ! ভগবান বলিয়াছেনÍ‘ভিক্ষুগণ! কোন বড় ভূমিকম্প উৎপত্তির আটটি হেতু
ও কারণ আছে। তাহা ঠিক। রাজা বেস্সান্তর যখন মহাদান দেন তখনও সাতবার পৃথিবী কম্পিত হয়।
তাহা অসাময়িক, কদাচিৎ ঘটনা, আট কারণের বহির্ভূত। তজ্জন্য আট কারণের মধ্যে তাহা গণনা
করা হয় নাই।
মহারাজ! জগতে সাধারণত ত্রিবিধ মেঘ গণনা করা হয়, যথা (১) বর্ষাঋতুর মেঘ, (২)
হেমন্তঋতুর মেঘ এবং (৩) প্রাবর্ষিক বা গ্রীষ্ম ঋতুর শেষের মেঘ। যদি তাহা ছাড়া অন্য
মেঘ বর্ষিত হয় তবে তাহা সম্মত মেঘের মধ্যে গণনা করা হয় না, উহা অকাল মেঘ’ রূপে ব্যবহৃত
হয়।
মহারাজ! হিমালয় পর্বত হইতে পঞ্চশত নদী প্রবাহিত হয়। উহাদের মধ্যে দশটির নামই
গণনা হয়। যথা- গঙ্গা, যমুনা, অচিরবতী, সরযু, মহী, সিন্ধু, সরস্বতী, বেত্রবতী, বীতংসা
(ব্যাস) ও চন্দ্রভাগা। অবশিষ্ট নদীগুলি নদী গণনায় গণিত হয় না, উহারা সদাসলিলা নহে।”
৩৬। “মহারাজ! রাজ সভায় এক, দুই, তিনশতও সদস্য থাকে, তাহাদের মধ্যে কেবল ছয়জনই
কেবল অমাত্য হিসাবে গণ্য হয়, যথা-সেনাপতি, পুরোহিত, বিচারক, কোষাধ্যক্ষ, ছত্রগ্রাহক
ও খড়্গগ্রাহক। ইহারা ছয়জনই অমাত্য হিসাবে গণ্য হয়। কেননা, ইহারা রাজগুণযুক্ত। অন্যরা
অমাত্য হিসাবে গণ্য হয় না, সদস্যরূপেই ব্যবহৃত হয়।
মহারাজ! এই প্রকারে, রাজা বেস্সান্তরের মহাদান দিবার সময় যে পৃথিবীর কম্পন হইয়াছিল,
উহা সাধারণ নিয়মের অনুকুল ছিল না। দৈবাৎ সংগতিত, সুতরাং পূর্বোক্ত আট কারণের ব্যতিক্রম
ছিল। তজ্জন্য উহাদের মধ্যে ইহা গণনা করা হয় নাই।
৩৭। “মহারাজ! বর্তমান বুদ্ধের সময়ে ইহ জীবনে সুখ ভোগ-কর্মের অধিকার প্রাপ্ত
লোকগণের বিষয় আপনি শুনিয়াছেন কি, যাহাদের কীর্তি দেবমানবের মধ্যে প্রসিদ্ধ ছিল?”
“হাঁ, ভন্তে! সাত জনের নাম শুনিয়াছি।”
“তাহারা কে কে?”
“ভন্তে! সুমন মালাকার, একশাটক ব্রাহ্মণ, পূর্ণ ভৃত্য, রাণী মল্লিকা, রাণী গোপালের
মাতা, সুপ্রিয়া উপাসিকা এবং পূর্ণা দাসী। এই সাতজন এমন কর্ম সম্পাদন করিয়াছে যাহার
ফল ইহ জীবনে ভোগ করিয়াছিল এবং যাহাদের খ্যাতি দেব-মানবের মধ্যে সুপ্রসিদ্ধ ছিল।
“মহারাজ! আপনি অপর কাহারও বিষয় শুনিয়াছেন কি যাহারা অতীতকালে সশরীরে ত্রিদশ-ভবনে
(স্বর্গ) গিয়াছেন?”
“হাঁ, ভন্তে! ইহাদের বিষয় আমি শুনিয়াছি।”
“তাঁহারা কে কে?”
“ভন্তে! গুপ্তিল গন্ধর্ব, স্বাধীন রাজা, নিমী রাজা ও মান্ধাতা রাজা। এই চারি
জন সশরীরে স্বর্গে গমন করেন এবং দীর্ঘ দিন ভাল-মন্দ কর্ম করিয়াছেন শুনিয়াছি।”
“মহারাজ! প্রাচীনকালে কিম্বা বর্তমান সময় এমন কাহারো সম্বন্ধে শুনিয়াছেন কি
যিনি দান করিবার সময় পৃথিবী এক, দুই বা তিনবার কম্পিত হইয়াছিল?”
“না, ভন্তে! শুনি নাই।”
“মহারাজ! আমি বহু পুরাণ পড়িয়াছি, শাস্ত্র অধ্যায়ন করিয়াছি, ধর্ম শুনিয়াছি, শিক্ষায়
শক্তি অর্জন করিয়াছি, গুরু-সেবা করিয়াছি, প্রশ্ন জিজ্ঞাসা ও আচার্যোপাসনা করিয়াছি।
কিন্তু একমাত্র রাজাধিরাজ বেস্সান্তরের মহাদানের সময় ব্যতীত আর কাহারো কোন দানের বেলায়
পৃথিবী এক, দুই বা তিন বার কম্পিত হইয়াছে। এমন কথা শুনি নাই। মহারাজ! ভগবান কশ্যপ ও
শাক্যমুনি এই দুই বুদ্ধের মধ্যে অসংখ্য কোটি বৎসর অতিবাহিত হইয়াছে, কিন্তু ইতিমধ্যে
অপর দ্বিতীয় ঘটনা সংঘটিত হইয়াছে। ইহা আমি শুনি নাই।
মহারাজ! সামান্য বীর্য্যে ও সামন্য পরাক্রমে এই মহাপৃথিবী কম্পিত হয় না। মহারাজ!
যখন ইহা গুরু-ভারে পুরিপূর্ণ হয় সমগ্র পবিত্র কর্মের গুরুভারে ভারাক্রান্ত হয় এবং ঐ
ভার ধারণে অসমর্থ হয়, কেবল তখনই এই মহাপৃথিবী চঞ্চল হয়, প্রকম্পিত হয়।
মহারাজ! বোঝা বেশী ভারি হইলে যেমন গাড়ীর নাভি ও নেমি বিদীর্ণ হয়, অক্ষ ভাঙ্গিয়া
পড়ে ইহাও সেইরূপ।
মহারাজ! আকাশ যখন অনিল-জল-বেগাচ্ছাদিত ও অত্যদিক জল-ভারাক্রান্ত হয় তখন প্রবল
বায়ু ও মেঘের সংঘর্ষের দরুন গর্জন করে ও গড় গড় শব্দ করে; সেইরূপ রাজা বেস্সান্তরের
দান বলের আধিক্যের ভারে ভারাক্রান্ত মহাপৃথিবী তাহা ধারণ করিতে অসমর্থ হইয়া চঞ্চল হয়,
কম্পিত হয় ও প্রকম্পিত হয়।
মহারাজ! রাজা বেস্সান্তরের চিত্ত কখনও রাগ, দ্বেষ, মোহ, মান, মিথ্যাদৃষ্টি,
কলুষ, বিতর্ক ও অসন্তোষযুক্ত হয় নাই, কিন্তু দান-শীলতাতেই বহুলাংশে প্রবর্তিত। তিনি
চিন্তা করিতেনঃ‘কি প্রকারে অনাগত যাচকগণ আমার নিকট আসিবে, আগত যাচকেরা যথেচ্ছা লাভ
করিয়া পরিতৃপ্ত হইবে।’ সর্বদা দানের প্রতি তাহার মন নিবিষ্ট থাকিত।
মহারাজ! রাজা বেস্সান্তরের চিত্ত সর্বদা দশটি বিষয়ে নিবিষ্ট থাকিত। যথা দম,
শম, ক্ষান্তি, সংবর, যম, নিয়ম, অক্রোধ, অহিংসা, সত্য ও শুদ্ধি। মহারাজ! তাঁহার কামান্যেন্বেষণ
পরিত্যক্ত, ভবান্বেষণ উপশান্ত ছিল তাঁহার ঔৎসুক্য ছিল ব্রহ্মচর্যান্বেষণের দিকে। তাঁহার
আত্মরক্ষার চিন্তা লেশমাত্র ছিল না। বিশ্ব প্রাণী রক্ষায় তিনি আত্মনিয়োগ করেন। তিনি
ইহাই বহুলাংশে চিন্তা করিতেন যে,‘কি প্রকারে এই প্রাণীরা একতায় থাকিবে, কি প্রকারে
সুস্থ, সুখী, ধনবান ও দীর্ঘায়ু হইবে’।
মহারাজ! তিনি দান দিবার সময় পরলোকে উত্তম জন্ম লাভের জন্য দিতেন না। দানময় পূণ্যের
বিনিময়ে ধন লাভের জন্য দান করিতেন না। প্রতিদানের আশায় দান দিতেন না। প্রতারণার জন্য
দান করিতেন না। তিনি দীর্ঘায়ু, সৌন্দর্য্য, সুখ, শান্তি ও যশের লালসায় দান করিতেন না।
তিনি পুত্র ও কন্যার কামনায় দান করিতেন না। কিন্তু তিনি সর্বজ্ঞতা জ্ঞান রত্নের নিমিত্ত
এইরূপ অতুল, বিপুল, অনুত্তর অদ্বিতীয় দান সমূহ প্রদান করিয়াছিলেন। সেই সর্বজ্ঞতা জ্ঞান
লাভ করিয়া তিনি এই গাথা ভাষণ করেনÍ
‘কেবল বোধি জ্ঞান লাভের নিমিত্ত আমি
আমার প্রিয় পুত্র জালি, কন্যা কৃষ্ণাজিনা
পতিব্রতা রাণী মাদ্রীদেবীকে দান করিবার
সময় মনে কিছু চিন্তা করি নাই।’
মহারাজ! রাজা বেস্সান্তর পরের ক্রোধকে প্রেম দ্বারা, পরের অসাধুতাকে সাধুতা
দ্বারা, পরের কৃপণতাকে বদান্যতা দ্বারা, মিথ্যাবাদীকে সত্যভাষণ দ্বারা এবং সর্ববিধ
পাপকে পুণ্যাচরণ দ্বারা জয় করিয়াছিলেন।
৩৮। “মহারাজ! রাজা বেস্সান্তর ধর্মানুকূল জীবন যাপন করিতেন, ধর্মই ছিল পরম লক্ষ্য।
তাঁহার এইরূপ মহাদান দিবার সময় দানের পরিণাম ফল স্বরূপ বলবান বীর্যের বিপুল সম্প্রসারণ
প্রভাবে পৃথিবীর নীচের বায়ুতে চাঞ্চল্য উপস্থিত হয়, ধীরে ধীরে এক একবার আকুল ব্যকুল
প্রবাহিত হয় এবং উন্নত, অবনত ও বিনত হইতে থাকে। বৃক্ষরাজি ছিন্নমূল হইয়া পতিত হয়। পুঞ্জ
পুঞ্জ মেঘ আকাশে ধাবিত হয়। ধুলিমিশ্রিত বায়ু প্রবল হয়। আকাশ উৎপীড়িত করিয়া বায়ু সমূহ
প্রবাহিত হয়। সহসা ধম্ ধম্ শব্দ হয়। মহা ভীষণ শব্দে গর্জন হয়। সেই বায়ুরাশি কূপিত হইলে
ধীরে ধীরে জল চঞ্চল হয়। জল চঞ্চল হইলে মৎস্য কচ্ছপাদি জলজন্তুগণ বিক্ষুব্ধ হইয়া উঠে।
জোড়া জোড়া হইয়া তরঙ্গরাজি উৎপন্ন হয়। জলচর প্রাণীরা সন্ত্রস্ত হয়। জলতরঙ্গ যুগ্মভাবে
চলিতে থাকে। তরঙ্গধ্বনি উঠিতে থাকে। ভীষণ বুদ্বুদ্ উত্থিত হয়। ফেন মালা হয়। মহাসমুদ্র
উচ্ছ্বসিত হইয়া উঠে। জল দিক বিদিকে ধাবিত হয়। জলদ্বারা স্রোতের অনুকূল ও প্রতিকূলে
উভয় মূখে ধাবিত হয়। তাহাতে অসুর, গরুড়, নাগ ও যক্ষেরা সন্ত্রস্ত ও উদ্বিগ্ন হয়।‘একি
হইল, সাগর কি উল্টিয়া যাইতেছে।’ এই ভাবিয়া তাহারা ভীত চিত্তে পলাইবার পথ অন্বেষণ করে।
জল দ্বারা ক্ষুব্ধ ও আলোরিত হইলে ভূধর ও সাগর সহ মহাপৃথিবী কম্পিত হয়। সুমেরু গিরিকূট
পরিবর্তিত হয় এবং শৈলশৃঙ্গ অবনত হইতে থাকে। অহি, নকুল, বিড়াল, শৃগাল, শুকর, মৃগ ও পক্ষীগণ
দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়। পৃথিবী কম্পিত হইতে থাকিলে নিু শ্রেণীর যক্ষেরা রোদন করে, কিন্তু
উচ্চ শ্রেণীর যক্ষেরা হাসিতে থাকে।
মহারাজ! যদি, কেহ কোন বড় হাঁড়ি জল ভরিয়া চুল্লীর উপর রাখে। (এবং অন্ন পাকের
উদ্দেশ্যে) তাহাতে চাউল নিক্ষেপ করে, তখন অগ্নি প্রজ্বলিত হইলে প্রথমে হাঁড়ি সন্তপ্ত
হয়। উষ্ণ হাঁড়ি জল গরম করে, উষ্ণজল ত-ুলকে গরম করে, উষ্ণ তন্ডুল উপরে উঠানামা করে,
বহু বুদ্বুদ্ উৎপন্ন হয়। এবং ফেন মালা উথলিয়া পরে।
মহারাজ! এইরূপে রাজা বেস্সান্তর নিজের এমন প্রিয়বস্তু দান করিয়াছেন যাহা ত্যাগ
করা বড় কঠিন ব্যপার। তাঁহার এই দুষ্কর দানের স্বাভাবিক মহিমায় নীচের মহাবায়ু উহার ভার
ধারণে অসমর্থ হইয়া বিক্ষুদ্ধ হইয়াছিল। বায়ু বিক্ষুদ্ধ হওয়াই জল চঞ্চল হইয়াছিল। এবং
জল কম্পিত হওয়ায় মহাপৃথিবী কম্পিত হইয়াছিল। তাঁহার মহাদানের ফল এবং বিপুল বল বীর্য
প্রভাবে বায়ু, জল ও পৃথিবী এই তিনটি যেন সমচিত্ত হইয়াছিল। রাজা বেস্সান্তরের মহাদানের
যে প্রভাব হইয়াছিল, এমন প্রভাব অন্য কাহারো দানে হয় নাই।
মহারাজ! এই ধরণীতে বহুবিধ মণি বিদ্যমান আছে। যথাÍইন্দ্রনীল, মহানীল, জ্যোতীরস,
বৈদুর্য, তিসিপুষ্প শিরীসপুষ্প মনোহর, সূর্যকান্ত, চন্দ্রকান্ত, হীরক, মুক্তা, পান্না,
স্পর্শরাগ, লোহিতাঙ্ক, ও মরকত প্রভৃতি। কিন্তু চক্রবর্তী (কোহিনুর?) মণি সর্বাপেক্ষা
শ্রেষ্ঠরূপে কথিত হয়। মহারাজ! চক্রবর্তী মণি চতুর্দিকে এক যোজন পর্যন্ত আলোকিত করে।
মহারাজ! এইরূপেই এই জগতে আজ পর্যন্ত যত প্রকার অসদৃশ ও পরম দান প্রদত্ত হইয়াছে,
সেই সকলের মধ্যে রাজা বেস্সান্তরের মহাদানই সর্বোত্তম।
মহারাজ! বেস্সান্তর রাজার মহাদান দিবার সময় এই পৃথিবী সাত বার কম্পিত হইয়াছিল।”
৩৯। “ভন্তে! বুদ্ধগণের ইহা বড়ই আশ্চর্য্য বড়ই অদ্ভূত যে তথাগত বোধিসত্ত্ব অবস্থায়ও
এইরূপ ক্ষান্তি, এইরূপ চিত্ত, এইরূপ অভিপ্রায় ও এইরূপ অভিলাষে জগতে অদ্বিতীয় ছিলেন।
ভন্তে! আপনি বোধিসত্ত্বগণের পরাক্রম প্রদর্শন করিয়াছেন, এবং সেই জিতেন্দ্রিয়গণের পারমীসমূহ
অধিক উজ্জ্বল করিয়াছেন। তথাগত বোধিচর্যা আচরণ করিবার সময়ও দেবমনুষ্যলোকে তাঁহার শ্রেষ্ঠত্ব
প্রতিপন্ন করিয়াছেন। অতি উত্তম! ভন্তে নাগসেন! আপনি জিন শাসনকে প্রশংসিত করিয়াছেন।
জিন পারমী উজ্জ্বল করিয়াছেন। অন্য মতাবলম্বীদের বাদ- গ্রন্থি ছেদন করিয়াছেন। পর প্রবাদের
কুম্ভ বিদীর্ণ করিয়াছেন। গভীর প্রশ্নকে সহজবোধ্য করিয়াছেন। গহনকে অগহন করিয়াছেন। জিন
পুত্রগণের সমাধান লাভ হইয়াছে। হে গণিবরোত্তম! আপনি যেরূপ বলিয়াছেন, আমি তাহা সেইরূপই
গ্রহণ করিতেছি।”
আমাদের কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আমরা আপনার কমেন্ট পড়া মাত্র প্রতিক্রিয়া জানাতে চেষ্টা করবো।