ত্রিশরণ |
১. যিনি [তোমার] ত্রুটি প্রদর্শন করেন ও তজ্জন্য ভর্ৎসনা করেন, সেই মেধাবীকে গুপ্তনিধি প্রদর্শকের ন্যায় দেখিবে। যে ব্যক্তি তাদৃশ পণ্ডিতকে ভজনা করে তাহার মঙ্গলই হয় অমঙ্গল নয়।
৩. পাপী মিত্রের সংসর্গ করিবে না, নরাধম ব্যক্তির সংসর্গ করিবে না, কল্যাণমিত্রদের ও পুরুষোত্তমদের সংসর্গ করিবে।
৪. ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি প্রসন্নচিত্তে সুখে বাস করেন ; পণ্ডিতব্যক্তি আর্যোপদিষ্ট ধর্মে সর্বদা রত থাকেন।
৫. সেচকগণ জলকে [যথেচ্ছ] পরিচালিত করে, শরনির্মাতা শরকে ইচ্ছানুরূপ গঠন করে, সূত্রধরেরা কাষ্ঠখ-কে আয়ত্ত করে; আর পণ্ডিতগণ দমণ করেন নিজেকে।
৬. কঠিন পর্বত যেমন বায়ুদ্বারা কম্পিত হয় না, তদ্রুপ পণ্ডিত ব্যক্তিরা নিন্দা-প্রশংসাতে বিচলিত হন না।
৭. গভীর, স্বচ্ছ ও অনাবিল, হ্রদের ন্যায় পণ্ডিতব্যক্তিরা ধর্মোপদেশ শ্রবণ করিয়া প্রসন্ন হন।
৮. সৎপুরুষেরা সমস্ত আসক্তি বর্জন করেন; সত্ত্বগণ কাম্য বস্তুর আলোচনা করেন না; তাঁহারা সুখে উলস্নাসিত কিংবা দুঃখে অবসন্ন হন না।
৯. যিনি অধর্মত নিজের জন্য কিংবা পরের জন্য পুত্র, ধন বা রাষ্ট্র কামনা করেন না, এমন কি সমৃদ্ধিও ইচ্ছা করেন না তিনিই প্রকৃত শীলবান, প্রজ্ঞাবান ও ধার্মিক।
১০. [ধর্ম সাগরের] পারগামী মানুষের সংখ্যা নিতান্তই অল্প; অবশিষ্ট জনতা তার তীরেই ধাবমান।
১১. যাঁরা সুব্যাখ্যাত ধর্মানুযায়ী জীবনগঠনে প্রবৃত্ত, কেবল তাঁরাই সুদুস্তর মৃত্যুর অধিকার উত্তীর্ণ হয়ে পরপারে গমণ করেন।
১২-১৩. পণ্ডিত অসত্য(কৃষ্ণ) ধর্ম ত্যাগ করিয়া সত্য (শুক্র) ধর্ম অনুসরণ করিবেন; আগার হইতে অনাগারত্ব লাভ করিয়া যে নিঃসঙ্গতায় (বিবেক) আনন্দলাভ দুঃসাধ্য সেই নিঃসঙ্গতাতেই তিনি অভিরতি (আনন্দ) লাভের সাধনা করিবেন; কামনা ত্যাগ করিয়া ও অকিঞ্চন হইয়া পণ্ডিত চিত্তত চিত্তক্লেশ হইতে নিজেকে পরিশুদ্ধ রাখিবেন।
১৪. সম্ভোধি-অঙ্গে যাঁহাদের চিত্ত সুগঠিত হইয়াছে, যাঁহারা গ্রহণে অনাসক্ত ও বৈরাগ্যনিরত, সেই ক্ষীণপাপ দ্যুতিমানগন ইহ জগতেই নির্বাণ লাভ করিয়াছেন।
আমাদের কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আমরা আপনার কমেন্ট পড়া মাত্র প্রতিক্রিয়া জানাতে চেষ্টা করবো।