শ্রীমধু পর্ণিমা তিথি মাধুরীমা ময়,
চারিদিকে মৃদু মৃদু মধু বায়ু বয়।
শাখে শিখি নাচে গাহে প্রীতিভরা আঁখি,
সরোবরে,খেলে সুখে হংস চকা-চকি।
প্রকৃতির রাজ্যপূর্ণ আনন্দ লহরী,
বুদ্ধগুণ স্মরি নাছে ময়ুর-মুয়ূরী।
বাগানে কুসুমরাশি অতিমনোহর,
পুকুর সলির ভরা দেখিতে সুন্দর।
সরসীতে শতদল রয়েছে ফুটিযা,
রাজ হংস পদ্মবনে যায় সাতাঁরিয়া।
ধানের সবুজ মাঠে মৃদু বায়ুবয়,
তাহা চাষীদল সুখে মগ্ন হয়।
সুর্নিমল শুভ্র আভা সারদ চন্দ্রিমা,
বিতরিছে নিরবধি সারদ সুষমা।
এহেন সুন্দর দিনে প্রীতি ফুল্ল মনে,
পূজিতে বাসনা করি বুদ্ধ প্রাণ ধনে।
অরণী বর্ষণ করি অগ্নি উৎপাদিয়া,
সুসিদ্ধ করিয়া জল শুণ্ডেতে আনিয়া।
তাহা মহানন্দে পূজি বুদ্ধ ধনে,
ফুরিল মনের সাধ গজফুল্ল মনে।
কিশলয় শাখ গুচ্ছ শুণ্ডেতে ধরিয়া,
মৃদু মৃদু পাখাা করে দুলিয়া দুলিয়া।
নিত্য নিত্য গজরাজ বুদ্ধে এরুপে,
পূজিয়া পুলকে তথা দীর্ঘ দিন যাপে।
হেন মধুর দৃশ্য করি দরশন,
পূজিতে আকুল হয়ে বানর তখন।
মধুচক্র হাতে করি বনের বানর,
আসিয়া শ্যী বুদ্ধে পূজে হরষি অন্তর।
বানরের ভক্তি শ্রদ্ধা আর মধু দানে,
বনস্থলী প্রকম্পিত সাধুবাদ দানে।
এহেন পূজার দৃশ্য হেরী বন্য প্রাণী,
হিংসা ক্রোধ ভুলি সবে মৈত্রী ধ্বনি।
স্বর্গে থাকি এই পূজা দেখি দেবগণ,
সাধুবাদ করে পুষ্প বরিষণ।
এই সাথে মোরা সবেহয়ে এক মন,
আনন্দেতে সাধুবাদ দাও গনে ঘন।
আজি মোরা মধু দানে ভক্তি শ্রদ্ধাভরে,
পূজিতেছি শ্রীবুদ্ধকে মোক্ষ লাভ তরে।
মধুদান এ পূজায় জন্মে জন্মে যেন,
সুমধুর কণ্ঠ স্বরে জিনি ত্রিভূবন।
আমাদের কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আমরা আপনার কমেন্ট পড়া মাত্র প্রতিক্রিয়া জানাতে চেষ্টা করবো।