বৌদ্ধ দর্শনে দুঃখ - 3sharan

বৌদ্ধ দর্শনে দুঃখ


বৌদ্ধ দর্শনে দুঃখ

ভারতীয় দর্শনেও দুঃখবাদের কথা বলা হয়েছে। দুঃখবাদ ভারতীয় দর্শনের আদিকথা, যদিও চরম কথা নয়। বলা হয়েছেমানবজীবনের রোগ-শোক, দুঃখ, দৈন্য, জরা, মৃত্যু, অপূর্ণতা, ব্যর্থতা ইত্যাদি থেকে দৈহিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক অস্বস্তির সৃষ্টি। আধুনিক কালের অনেক দার্শনিক (যেমন : জার্মান দার্শনিক শোপেনহাওয়ার) দুঃখবাদের কথা বলে গেছেন। কিন্তু তারা দুঃখ হতে পরিত্রাণের প্রকৃত রাস্তা দেখিয়ে দিতে পারেননি।

আলোচ্য বিষয় (toc)

এরূপে, অনেকে বলেন, বুদ্ধের ধর্ম দুঃখবাদী ও নৈরাশ্যবাদী ধর্ম। বুদ্ধের ধর্মে শুধু দুঃখকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। বুদ্ধ মানুষের জন্ম-জরা-ব্যাধি-মৃত্যু-শোক-পরিদেবন ইত্যাদি দুঃখভোগের কথা বলেছেন; জন্মে জন্মে দুঃখ পাওয়ার কথা বলেছেনএকজন মানুষ অতীতে যে অসংখ্য জন্ম ধারণ করে দুঃখগ্রস্ত হয়ে যে পরিমাণ চোখের জল ফেলেছিল তা জমা করলে মহাসমুদ্রের সমান হতো; মৃত্যুর পর অস্থিগুলো জমা করলে হিমালয় পর্বতসম স্তূপ হতো। তা ছাড়াও অনেকে বলেন, মানুষ পিতামাতা, স্ত্রী-পুত্রকন্যা, ধন-দৌলত, খ্যাতি প্রভৃতি নিয়ে যে সুখ ভোগ করে, তা কি কোনো সুখ নয়? জীবনে দুঃখ আসবেই! রোগী রোগ-যন্ত্রণা ভোগ করবে, জরাগ্রস্ত ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করবে, প্রিয়জনের মৃত্যুতে জ্ঞাতিরা শোকগ্রস্ত হবে, গরীবেরা অভাবগ্রস্ত হবে, আরও কত কি দুঃখ! মানুষ জীবনে সুখ-দুঃখ উভয়ই ভোগ করে। তবে বুদ্ধ কেন বারে বারে শুধু দুঃখের কথাই বলেছেন, সুখের কথা না বলে? যার সুখ-দুঃখ সবকিছু মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা হয়নি, তার হয়ত মানসিক শক্তি দুর্বল কিংবা হয়ত সে হতাশাগ্রস্ত বা দুঃখী। জীবনে দুঃখ আসবেএ সত্য মেনে নিতে দ্বিধা কোথায়? এগুলোই হলো অনেকের ভাষ্য।

অনেকে এই কথা হয়ত ভুলে যান, গৌতম বুদ্ধ গৃহত্যাগ করার পূর্বে যখন সিদ্ধার্থ নামে অভিহিত হতেন তখন রাজ্যসুখ ভোগ করেছিলেন। পিতা শুদ্ধোধন ও বিমাতা মহাপ্রজাপতি গৌতমী তাঁর সুখের জন্য এমন কোনো ব্যবস্থা নেই যা করেননি। তাঁর জন্য শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা তিন ঋতু উপযোগী ‘রম্মো, সুরম্মো ও সুভকো নামে তিনটি অতি উত্তম প্রাসাদ ছিল। অলঙ্কার বিভূষিতা চল্লিশ হাজার পরিচারিকা ছিল। অতি প্রিয়া যশোধরা নাম্নী স্ত্রী এবং স্নেহের ধন রাহুল নামক পুত্র তো ছিলই। ঊনত্রিশ বছর পর্যন্ত লৌকিক সুখ ভোগের যাবতীয় উপকরণই তিনি পরিভোগ করেছিলেন। এতো সুখভোগের পরও কেন তিনি গৃহত্যাগ করলেন? রাজ্যসুখ কি তাঁর ভালো লাগেনি? রাজ্যসুখে কি তাঁর বিতৃষ্ণা ধরেছিল? এটা ঠিকএতো সুখের উপকরণ পেয়েও একটা সময়ে এসে তাঁর মন বিতৃষ্ণায ভরে উঠেছিল। তার একমাত্র কারণতিনি বুঝতে পেরেছিলেন, এই সুখ প্রকৃত সুখ নয়, তা দুঃখেরই নামান্তর।

একসময় নগর ভ্রমণে বের হয়ে তিনি জরাগ্রস্ত, রোগগ্রস্ত, মৃত এবং প্রব্রজিত ব্যক্তি—–—এই চারটি নিমিত্ত দেখেন। ভিন্ন ভিন্ন দিনে দেখা নিমিত্তগুলো তাঁর মনে গভীর চিন্তা ও বৈরাগ্যের উদ্রেক করে। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, এতো সুখভোগ করার পরও মৃত্যু একদিন এই দেহকে বিনষ্ট করে ফেলবে। আবারও জন্ম নিতে হবে; সেই জন্মে অপেক্ষা করছে হয়ত রাজ্যসুখ নতুবা হতদরিদ্র অবস্থা। জীবন ধারণ করলেই তো এই দেহ জরা- ব্যাধিগ্রস্ত হবে, শোকগ্রস্ত হতে হবে, দুঃখ পেতে হবে, মৃত্যু হবে। এই দুঃখগুলো কীভাবে অবসান করা যায়? কীভাবে জন্ম-মৃত্যুর চক্র ভেঙে ফেলা যায়? শেষে প্রব্রজিত ব্যক্তিকে দেখে তিনি দুঃখমুক্তি ও সুখের সন্ধানে অত্যুৎসাহী হন।

সুখের মার্গ খোঁজার ও লাভের জন্য তিনি গৃহত্যাগ করে সন্ন্যাসজীবনকেই উত্তম মনে করলেন। এই কথা জেনে রাজা শুদ্ধোধন তাঁকে সন্ন্যাসী হওয়ার কৃত সংকল্প ত্যাগ করতে বললেন। সিদ্ধার্থ পিতা শুদ্ধোধনকে বলেছিলেন, 'চারটি বর আমাকে প্রদান করলে গৃহে থাকতে পারি। সেই চারটি বর হলো : 

১। জরা যেন আমার যৌবন নষ্ট করতে না পারে, 

২। রোগ যেন আমার স্বাস্থ্য ভগ্ন করতে না পারে, 

৩। মৃত্যু যেন আমার জীবন হরণ করতে না পারে এবং 

৪। এই ভবসংসারে আর যেন আমার পুনর্জন্ম না হয়।'

পরবর্তী সময়ে গৃহত্যাগ করে ছয় বছর কঠোর সাধনা করার পর যখন সম্যকসম্বুদ্ধ হয়ে সর্বজ্ঞতা জ্ঞান লাভ করে জগতের সবকিছুরই আদি-অন্ত সম্যকভাবে জ্ঞানযোগে জেনেছিলেন, তখন বিমুক্তি সুখের অনাবিল আনন্দে উদাত্ত কণ্ঠে বলেছিলেন

অনেক জাতি সংসারং সন্ধাবিস্সং অনিব্বিসং,

গহকারকং গবেসন্তো দুক্খা জাতি পুনপ্পুনং।

গহকারকো দিঠোসি পুন গেহং ন কাহাসি,

সব্বা তে ফাসুকাভগ্গা গহকূটং বিসঙ্খিতং

বিসঙ্খারগতং চিত্তং তণ্হানং খযমাগা'তি।

বঙ্গানুবাদ:

জন্মচক্রে বহুরূপে করি আবর্তন,

করিয়াছি গৃহকার, তোমা অন্বেষণ;

জাতি-জরা দুঃখ তাপে মজি বারবার,

আজি আমি লভিয়াছি সন্ধান তোমার

গৃহকূট ভগ্ন তব ভগ্ন উপাদান

চিত্ত মোর তৃষ্ণা শূন্য; মুক্তি অধিষ্ঠান

পুনঃ আর গৃহ তব হবে না নির্মাণ

সকল নিগড় ছিন্ন ক্লেশ অবসান।

জন্মে জন্মে মানুষের এই জগৎসংসারে জন্ম-মৃত্যু ও দুঃখাদি পাওয়ার কারণ হলো তৃষ্ণা। অবিদ্যার কারণে তৃষ্ণা উৎপত্তি হয়। অবিদ্যা-তৃষ্ণাই প্রাণীদের পুনর্জন্ম ঘটায় ও দুঃখ দেয়। অবিদ্যার কারণে কামনা-বাসনা চরিতার্থে মানুষেরা যেই সুখ ভোগ করে পরিতৃপ্ত ও পরিপূর্ণ হতে চায় তা ক্ষণিকের, সেই সুখ মিথ্যা। সেই ক্ষণিক সুখের পেছনে অপেক্ষা করছে চরম দুঃখ। তথাগত বুদ্ধ মানবজীবনের বিভিন্ন দুঃখময় দিকগুলো নিখুত ও সম্পূর্ণরূপে তুলে ধরেছেন:

জন্ম দুঃখ: 

মাতৃগর্ভে কমবেশি দশ মাস কাল নিদারুণ দুঃখ পেতে হয়। মানবজন্ম ধারণের শুরুতেই দরজা-জানালা নেই এমন অন্ধকার মাতৃকুক্ষিতে থাকতে হয়। গর্ভধারিণী মায়ের অশেষ মমতা আর পূর্বজন্মের কুশল কর্মের ফলে মাতৃকুক্ষি হতে সুস্থাবস্থায় ভূমিষ্ঠ হওয়া সম্ভব হয়। কিন্তু অকুশল কর্মের ফলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকৃতাবস্থায় জন্ম নিতে হয়। অতি অকুশল কর্মের ফলে অনেকের মাতৃগর্ভেই মৃত্যু ঘটে।

জরা দুঃখ: 

বার্ধক্যজনিত দুঃখ পেতে হয়। জরা বা বার্ধক্য মানুষের রূপ-যৌবন ধ্বংস করে, শরীরের কোমনীয়তা নষ্ট করে, শরীরে ভাঙন ধরে, জীর্ণতা আসে, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ শিথিল ও নিস্তেজ হয়, শরীর রোগের আধার হয়, আয়ু ক্ষীণ হয়, তখন মনের ইচ্ছা থাকলেও শক্তি থাকে না, ইচ্ছেমতো কিছু করা সম্ভব হয় না। জরাকে ভয়ঙ্কর ও দুঃখদায়ক বলা হয়েছে।

ব্যাধি দুঃখ: 

রোগের কারণে দুঃখ পেতে হয়। রোগমুক্ত মানুষ জগতে নেই বললেই চলে। শৈশবে, কৈশোরে, যৌবনে কিংবা বৃদ্ধকালে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে হয়। গুরুতর জটিল কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণনাশও হয়। কেউ বা আমৃত্যু ধুকে ধুকে রোগযন্ত্রণা ভোগ করে।

মরণ দুঃখ: 

কারো পরিণত বয়সে, কারো অল্প বয়সে, কারো সাধারণভাবে, কারো অপঘাতে-রোগে-শোকে মৃত্যু হয়...। কেউই মরতে চায় না; তারপরও মৃত্যু আসে; মৃত্যুজনিত দুঃখ পেতে হয়। পরিবারপরিজন ও পরিচিতজনদের কাছেও সেই মৃত্যু দুঃখযন্ত্রণাদায়ক হয়।

শোক-পরিতাপ-দৌর্যনস্য-হতাশা দুঃখ: 

শোক-পরিতাপ-দৌর্মনস্য-হতাশাজনিত দুঃখ পেতে হয়। মানুষেরা জরা, ব্যাধি, মৃত্যু, ধনসম্পদ নাশ, খ্যাতি-মান-সম্মান নষ্ট প্রভৃতি পরিস্থিতির কারণে এমন দুঃখগুলো ভোগ করে থাকে।

অপ্রিয় সংযোগ দুঃখ: 

অনিচ্ছা সত্ত্বেও ভালো না লাগা অপ্রিয় মানুষের সঙ্গে জীবন কাটাতে হয়, সংস্পর্শে আসতে হয়; অপ্রিয় জিনিস পেতে হয়, অপ্রিয় পরিস্থিতি বিষয়ের সম্মুখীন হতে হয়এভাবেই অপ্রিয় সংযোগের কারণে দুঃখ পেতে হয়।

প্রিয় বিয়োগ দুঃখ: 

মাতাপিতা, ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী-পুত্রকন্যা, আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব ... হতে মৃত্যু বা বিভিন্ন কারণে সম্পর্কচ্ছেদ বা বিচ্ছেদ হয়। প্রিয় জিনিস হারাতে হয়। মানসিক দুঃখ পোহাতে হয়।

যা ইচ্ছা হয় তা না পাওয়ার দুঃখ: 

মানুষ রোগমুক্ত হতে চায়, প্রিয় মানুষের সংস্পর্শে আসতে চায়, ধনসম্পত্তি লাভ করতে চায়, উত্তম স্বামী-স্ত্রী-পুত্রকন্যা পেতে চায়, খ্যাতি-সম্মান চায়, চাওয়া না-চাওয়ার অনেক কিছুই আছে। মানুষ জীবনে যা কিছু চায়, ইচ্ছে করে সেগুলোর অনেক কিছুই পাওয়া হয় না। না-চাওয়া, ইচ্ছে না-করা জিনিসগুলোই হয়ত পেতে হয়; এতে দুঃখগ্রস্ত হতে হয়।

অর্থাৎ তথাগত বুদ্ধ মানুষের স্বাভাবিক দুঃখগুলোকে আট ভাগে ভাগ করেছেন। সর্বোপরি বলা হয়েছে, ‘সঙ্খিত্তেন পঞ্চোপদানখন্ধা দুক্খাসংক্ষেপে পঞ্চ উপাদান স্কন্ধের (রূপ- বেদনা-সংজ্ঞা-সংস্কার-বিজ্ঞান অথবা নাম-রূপ) উৎপত্তিই দুঃখ।

বুদ্ধ মানবজীবনের দুঃখময় দিকগুলোর কথা বলেই ক্ষান্ত হননি, দুঃখমুক্তির উপায়ও দেখিয়ে দিয়েছেন। বৌদ্ধ দর্শনের মূল কথাই হলো জীবনের দুঃখসত্য উপলব্ধি ও দুঃখ হতে মুক্তির উপায়। তিনি উদাত্ত কণ্ঠে বলেছেন, চতুরার্য সত্য সম্যকরূপে উপলব্ধি করতে পারলে যে-কারোর দুঃখ সর্বতোভাবে উপশম হবে। চতুরার্য সত্য বা চারটি আর্যসত্য হলো ১। দুঃখ আর্যসত্য (জীবনের দুঃখময় দিকগুলো তুলে ধরেছেন), ২। দুঃখ সমুদয় আর্যসত্য (দুঃখের কী কী সেগুলো বলেছেন), ৩। দুঃখ নিরোধ আর্যসত্য (দুঃখগুলো অবসান করা যায়), ৪। দুঃখ নিরোধের উপায় আর্যসত্য (দুঃখগুলো অবসান করার উপায় বা মার্গ দেখিয়ে দিয়েছেন)।

তিনি জাগতিক দুঃখগুলো গভীরভাবে উপলব্ধি করতে বলেছেন। জীবনে নানা ঘাত- প্রতিঘাতে দুঃখ পেলেও তিনি যে-কাউকে নিরাশ ও হতাশাগ্রস্ত হতে বলেননি, উৎসাহিতও করেননি। বরং তিনি আশার প্রদীপ জ্বালিয়েছেন। তিনি নিজের জীবনেই প্রমাণ করেছেন, মানুষ ইচ্ছা করলে সকল জাগতিক দুঃখের বিনাশ সাধন করে পরম সুখশান্তির অধিকারী হতে পারে। তিনি কঠোর সাধনা করে স্বীয় জীবনেই জাগতিক দুঃখরাশির বিনাশ করেছেন, সর্বজ্ঞতা জ্ঞান করেছেন, পরম সুখময় নির্বাণ লাভ করেছেন। মানুষ সদিচ্ছা, সৎ প্রচেষ্টা ও সৎ কর্ম আচরণ ও অনুশীলনের দ্বারা এমন দুর্লভ বিষয়ও সাধন করতে পারে।

পরম সুখ বলতে কী বুঝায়? বৌদ্ধধর্ম মতে নির্বাণসুখকেই পরম সুখ বলে অভিহিত করা হয়েছে। এই সুখের তুলনায় সাধারণ সাংসারিক ও লৌকিক সুখগুলো ক্ষণিক ও কিঞ্চিৎ পরিমাণই বলা চলে। যেহেতু বৌদ্ধ দর্শনে লৌকিক সুখ ভোগকে ক্ষণিক ও হীন বলা হয়েছে, আর নির্বাণসুখকে বৃহত্তর ও উত্তম বলা হয়েছে, সেই কারণেইবুদ্ধ জীবনের দুঃখময় দিকগুলো বারে বারে দর্শন ও উপলব্ধি করে ক্ষণিকের সুখ ত্যাগ করে বৃহত্তর সুখ নির্বাণ লাভ করতে উৎসাহিত করেন এবং সেই পরম সুখ লাভের পথ দেখিয়েও দিয়েছেন।

তাহলে বুদ্ধের ধর্মকে নৈরাশ্যবাদী ও দুঃখবাদী ধর্ম বলার কি কোনো কারণ আছে? যারা এই কথা বলেন তারা যথাসত্য উপলব্ধি না করেই বলেন। বুদ্ধধর্ম নৈরাশ্যবাদী ধর্ম তো নয়-ই, বরং জীবনের প্রতি পদে পদে দুঃখ-যন্ত্রণার কষাঘাতে জর্জরিত হয়ে যারা হতাশ-দুঃখগ্রস্ত হয়ে গেছেন, তারা এ ধর্ম আচরণ ও অনুশীলন করে যথাসত্য উপলব্ধি করতে পারলে দুঃখমুক্ত হবেন, বিমুক্তি সুখ অনাবিল সুখ লাভ করবেন।

উৎস: বুড্ডিস্ট উইকি/ লেখক: শোভিত ভিক্ষু, রজবন বিহার, রাঙ্গামটি

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

আমাদের ওয়েবসাইট আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকিজ ব্যবহার করে। দয়া করে সম্মতি দিন। Learn More
Accept !